পেটের সমস্যায় ভুগছেন এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। সেই সঙ্গে সাধারণ গ্যাস্ট্রিক ও অ্যাসিডিটি তো আছেই। তবে মনে রাখতে হবে যে কিছুর জটিলতার পেছনে লুকিয়ে থাকে পাকস্থলীর ক্যানসার। তাই সতর্ক হওয়ার চেষ্টা আপনাকে করতেই হবে।
পাকস্থলীর ক্যানসারকে বলা যায় গ্যাসট্রিক ক্যানসার। এই রোগের প্রথম ক্ষেত্রভূমি হল পাকস্থলী। বুকের তলাতেই স্টমাকের অবস্থান।শরীরে এই জায়গাকে বলা হয় স্টমাক বডি। এ রোগের নানা চিকিৎসাও রয়েছে।
দেখা গেছে যে রোগ প্রথমে ধরে ফেলতে পারলেই রোগী সুস্থ হন দ্রুত। তাই চেষ্টা করুন স্টমাক ক্যানসার নিয়ে সচেতন হওয়ার। কারণ এই রোগ একবার শরীরের অন্য জায়গায় ছড়িয়ে গেলে বিপদের কারণ হতে পারে।
পাকস্থলীর ক্যানসারে কী কী লক্ষণ থাকে?–
খাবার গিলতে সমস্যা হয়,
পেটে ব্যথা হতে পারে,
খাবার খাওয়ার পরই পেট ফেঁপে যাওয়া সম্ভব,
কম খেলেই পেট ভরে যায়,
খিদে কম পায় কারণ ছাড়াই,
বুক জ্বালা করে,
খাবার হজম হয় না,
বমি বমি ভাব,
বমি পায়,
দ্রুত ওজন কমে,
ক্লান্তি গ্রাস করে,
কালো রঙের স্টুল হয় ইত্যাদি।
এবার মাথায় রাখতে হবে যে ক্যানসার যদি শরীরের অন্য কোথাও ছড়িয়ে যায়, তখন আবার আলাদা উপসর্গ দেখা যেতে পারে।
ঝুঁকি কাদের বেশি?–
রোগের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়তে পারে এই কারণে-
বারবার অ্যাসিডিটি হলে। অ্যাসিড খাদ্যনালিতে উঠে এলে, এ ক্ষেত্রে জিইআরডি রোগ থাকলে সমস্যার আশঙ্কা বাড়ে,
বেশি পরিমাণে লবণ বা পোড়া খাবার খাওয়া,
খাদ্য তালিকায় সবজি ও ফল কম থাকা,
হেলিকোব্যাকটর পায়োলরি জীবাণুর সংক্রমণ,
ধূমপান,
পাকস্থলীতে পলিপ তৈরি হওয়া,
পরিবারে এই রোগের ইতিহাস রয়েছে। আগেও কারও হয়েছে।
যেভাবে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব–
এই কয়েকটি কাজ করলে পাকস্থলীর ক্যানসার রোগপ্রতিরোধ করা সম্ভব। সেগুলো হলো-
– বেশি পরিমাণে ফল ও সবজি খান। এই খাবার আপনাকে সুস্থ রাখতে পারে। চেষ্টা করুন বিভিন্ন রঙের সবজি ও ফল খাওয়ার।
– বাইরের খাবার কম খান। বেশি লবণ খাবেন না।
– ধূমপান যে কোনো সমস্যার কারণ। তাই চেষ্টা করুন এটা ছেড়ে দেয়ার।
– আপনার চিকিৎসককে জানান পরিবারে আগে থেকেই এই রোগের ইতিহাস থাকলে।
চিকিৎসা–
এই রোগের ক্ষেত্রে রেডিয়েশন, কেমো বা সার্জারি প্রয়োজন। কারণ ক্যানসার কোন স্টেজে রয়েছে তার ওপর নির্ভর করে চিকিৎসা নিতে হয়।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply