সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৮:১৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
উপজেলা পর্যায়ে আদালত সম্প্রসারণে নীতিগত একমত সব রাজনৈতিক দল চমক রেখে বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার দল ঘোষণা ডেঙ্গুতে মৃত্যু আরও ৩ জাতীয় পার্টির মহাসচিব হলেন ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী রেফ্রিজারেটরে অল রাউন্ড কুলিং ফিচার থাকা জরুরী কেন? ডেবিট কার্ডে লেনদেনে সেরা ১০ জন গ্রাহককে পুরস্কৃত করল আইএফআইসি ব্যাংক ওয়ালটনের প্যাসেঞ্জার কার ব্যাটারি ‘গ্রাভিটন’ উদ্বোধন করলেন কন্ঠশিল্পী তাহসান ইউনিয়ন ব্যাংকে বিনিয়োগ আদায়ে জোর তৎপরতা ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হলেন আদিল চৌধুরী ক্যালিফোর্নিয়ায় ৩০০ কৃষি শ্রমিক পাঠাবে ওয়েদার এন্ড ক্লাইমেট চেইঞ্জ গ্রীন হাউস ইফেক্ট লিমিটেড

নিরাপত্তা না থাকলে কেন বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে আসবে: শিবলী রুবাইয়াত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : রবিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২২

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, অর্থ ফেরতের নিরাপত্তা না থাকলে কেন বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে আসবে? কারও কষ্টের টাকা যদি অন্য কেউ আত্মসাত করে নেয়, তাহলে বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে আসবে না। এছাড়াও আমাদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বিপরীতে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের রিটার্ন দিতে না চাওয়ার মানসিকতা আরেকটি বড় সমস্যা। এই দুটি বিষয় বাজার উন্নয়নে বড় বাধাঁ।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা আসার পরে (দায়িত্ব গ্রহন) ২-৩টি ব্রোকারেজ হাউজে অনিয়মের ঘটনা দেখেছি। কাস্টমার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা-পয়সা সরিয়ে ফেলা হয় ও বিভিন্ন রকম সফটওয়্যার ব্যবহার করে মানুষের সাথে জালিয়াতি করা হয়। এই জিনিসগুলো বন্ধ করার জন্য সিডিবিএলের মাসিক স্টেটমেন্ট প্রদান সেবাটি খুবই জরুরী। এর মাধ্যমে কাস্টমারদের প্রতারণা কমবে। কারণ এখন থেকে ব্রোকারেজ হাউজ থেকে যে পোর্টফোলিও পাঠানো হয়, তারসঙ্গে সিডিবিএলের স্টেটমেন্টের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা। যাতে ব্রোকারেজ হাউজে কোন রকম প্রতারণার আশ্রয় নিলে, তা বিনিয়োগকারী বুঝতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ব্যবসাবান্ধব সেবা দিতে চাই। আর সেটা দিতে গিয়ে ২-৩% মানুষের অসততার কারনে বাধাঁর সম্মুখীন হচ্ছি। এই হার হয়তো আরও কম হবে। এই অল্প কয়েকজন মানুষের জন্য ৯৭-৯৯% মানুষকে কষ্ট পেতে হয়। কারন ওই ২-৩% মানুষের জন্য আমাদেরকে অনেক রকম নিয়মকানুন বানাতে হয়। যেটার মধ্য দিয়ে নিরীহ ও ভাল মানুষদেরকেও যেতে হয়। তাই আমাদের সবাই মিলে ওই অল্প কয়েকজনকে সমাজ থেকে বিতারিত করে দিতে হবে। তাহলে কিন্তু বাকিরা সহজেই ব্যবসা করতে পারবে।

রবিবার (৩০ জানুয়ারি) সিডিবিএলের মাসিক স্টেটমেন্ট প্রদানের সেবার উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সিডিবিএলের এই মাসিক স্টেটমেন্ট প্রদানের সেবার মাধ্যমে গ্রাহকদেরকে প্রতি মাসে তাদের সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয়ের তথ্য মেইলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যেখানে মাসের শুরুর এবং শেষের ব্যালেন্সও থাকবে। যাতে করে ব্রোকারেজ হাউজ থেকে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে কেউ ভুল পোর্টফোলিও প্রদান করলেও সিডিবিএলের স্টেটমেন্ট দেখে তা সহজেই ধরে ফেলা যাবে।

সিডিবিএলের মাসিক স্টেটমেন্ট প্রদানের সেবাটি গ্রহণের জন্য বিনিয়োগকারীদের মেইল ঠিকানাটি সঠিক হতে হবে বলে জানান শিবলী রুবাইয়াত।

এছাড়া মোবাইল নাম্বারটা সঠিক হওয়াও জরুরী। কারন এই দুটি জায়গায় অনেক চালাকি করা হয়। এরকম কাজ কারও মধ্যে দেখা দিলে আমাদেরকে জানাবেন। আমরা সেটার জন্য ব্যবস্থা নেব। আমরা কোন ধরনের প্রতারনা বা জালিয়াতির সুযোগ দিতে চাই না। আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব। এজন্যই দিনে দিনে কমিশন কঠোর হচ্ছে।

এসময় সিডিবিএল কর্তৃপক্ষকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা নিয়মিত বিনিয়োগকারীদেরকে স্টেটমেন্ট পাঠাবেন। এমনকি বিনিয়োগকারীরা যাতে নিজেরাই ঢুকে পোর্টফোলিও চেক করে নিতে পারেন, সে ব্যবস্থা করবেন। যাতে কোন ব্রোকারেজ প্রতারণার আশ্রয় নিলে সাথে সাথেই ধরা পড়ে যায়। এছাড়াও যদি বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য অন্য কোনো উপায় থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তবে সবসময় ব্রোকারেজ হাউজের মালিকদেরকে দোষারোপ করা যাবে না। কারণ অনেক সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজেরাও অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে। যেটা মালিকপক্ষ জানে না।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রন সংস্থার চেয়ারম্যান বলেন, আমাদেরকে হ্যাকিংয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ নিতে হবে। যাতে হ্যাকাররা কোনভাবেই হ্যাক করে আমাদেরকে সমস্যায় ফেলতে না পারে। কারণ দেশে-বিদেশে হ্যাকাররা খুবই বুদ্ধিমান। তারা আমেরিকার মতো দেশে হ্যাক করে স্বার্থ আদায় করে নিচ্ছে। সুতরাং হ্যাকিং খুবই ভয়াবহ বিষয় হয়ে দাড়িঁয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএসইসির কমিশনার শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, সিডিবিএলের আজকের মাসিক স্টেটমেন্টের মতো যত সার্ভিস চালু করা যাবে, পুঁজিবাজারের প্রতি তত বিশ্বাস তৈরী হবে। যেটা পুঁজিবাজারের জন্য খুবই জরুরী।

তিনি বলেন, কোন বিনিয়োগকারীর যদি ব্রোকারেজ হাউজ থেকে বা অন্যকোনভাবে টাকা ও শেয়ার গায়েব হয়ে যায় এবং তা ফেরত না পাওয়া যায়, তাহলে আত্মসাতকারীকের যতই শাস্তি দেওয়া হোক না কেন, তাতে প্রকৃতপক্ষে কোনো লাভ হবে না। তবে আত্মসাতের মতো অনিয়ম দূর করতে সিডিবিএলের মাসিক স্টেটমেন্ট প্রদান সেবাটি কাজে আসবে বলে তিনি মনে করেন।

অনুষ্ঠানে বিএসইসির আরেক কমিশনার আব্দুল হালিম বলেন, আমাদের পুঁজিবাজারে আইন-কানুন পর্যাপ্ত আছে। তারপরেও কিভাবে বিনিয়োগকারীদের সম্পদ আত্মসাতের মতো ঘটনা ঘটে, তা খুজেঁ বের করার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সিডিবিএলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শভ্র কান্তি চৌধুরী, বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক মো. আনোয়ারুল ইসলামসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS