রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২১ পূর্বাহ্ন

বার্ড ফ্লুতে ৪ কোটি ৭০ লাখ মুরগীর মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২২
  • ১৫১ Time View

বার্ড ফ্লু’তে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছরে রেকর্ড সংখ্যক মুরগী ও টার্কির মৃত্যু হয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, কৃষকরা আগে এই ভাইরাসটির যে ধরন বা রূপের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন, এবার তার চেয়ে ভিন্ন এবং জটিল একটি ধরন বন্য পশুপাখিকে বেশি সংক্রমিত করছে। পরবর্তীতে এই ভাইরাসের বিস্তার আরও দ্রুত ঘটছে।

চলতি বছরে যুক্তরাষ্ট্রে এই ভাইরাসে আক্রান্ত ৪ কোটি ৭০ লাখের বেশি মুরগী মারা গেছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের মুরগী রপ্তানি নিষিদ্ধ, ডিম ও টার্কির উৎপাদন হ্রাস এবং এর দাম রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার এই প্রাদুর্ভাব দেশটির ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতিতেও আঘাত এনেছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণী-স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছিল ২০১৫ সালে। ওই বছর দেশটিতে প্রাণঘাতী এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রাদুর্ভাবে ৫ কোটি ৫ লাখ মুরগী মারা যায়।

অতীতে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় লাখ লাখ পাখি, হাঁস ও মুরগিকে মেরে ফেলা হয়। বার্ড ফ্লু প্রাদুর্ভাবের কারণে পোল্ট্রি শিল্পের বাণিজ্যে দেশটিতে প্রায়ই বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) প্রধান ভেটেরিনারি কর্মকর্তা রোজমেরি সিফোর্ড বলেছেন, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার অতি-সংক্রামক এইচ৫এন১ ধরনের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন কৃষকরা। সাধারণত ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রায় এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রাদুর্ভাব হ্রাস পেলেও গ্রীষ্মকালে এই ধরনটি টিকে থাকে।

এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, এইচ৫এন১ এর মতো প্রায় একই রকমের আরেকটি ধরন ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ছে। এই ধরনটি গুয়াংডং বংশীয় নামে পরিচিত। ইউরোপ ইতোমধ্যে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জোর ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। এই অঞ্চলে চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ৫ কোটি মুরগী মেরে ফেলা হয়েছে।

সিফোর্ড বলেন, কর্মকর্তারা অতীতের তুলনায় বর্তমানে হাঁসের মতো বন্যপ্রাণীর শরীরে এইচ৫এন১ ধরনটি বেশি পরিমাণে শনাক্ত করছেন। মনে হচ্ছে বন্যপ্রাণীর শরীরে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জোর এই ধরনটি দীর্ঘসময় বেঁচে থাকে। আগামী বছরের গ্রীষ্ম পর্যন্ত সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন মার্কিন এই কর্মকর্তা।

সূত্র: রয়টার্স

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS