বাংলাদেশের আরো ৫টি হজ্ব এজেন্সির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ দিয়েছে সৌদি আরবের হজ্ব মন্ত্রণালয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ খ-নের জন্য প্রমাণক বা মতামত সৌদি সরকারের কাছে পাঠানোর জন্য এজেন্সিগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এর আগে ৬টি এজেন্সীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিল সৌদি আরব।
হজ্ব যাত্রীদের সাথে অসদাচরণ, হজ্বযাত্রী প্রেরণে বিলম্ব করা, হজ্বযাত্রীদের আগমনের তথ্যাদি কেন্দ্রকে প্রদান না করা এবং কেন্দ্রকে অবহিত না করে হজ্বযাত্রীর আবাসনের ব্যবস্থা করার অভিযোগ আনা হয়েছে এজেন্সীগুলোর প্রতি। এজেন্সীগুলো হলো, আল হাসান ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স নং- ৬৪৬, মোনাজ্জেম নং-৫১৬৬), সাঈদ হজ্ব ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স নং- ১১৫১, মোনাজ্জেম নং-৫৭২০), সাবওয়ে ট্রাভেলস এন্ড হোলিডে (লাইসেন্স নং- ১২৩৩, মোনাজ্জেম নং-৯৪৪২), সানফ্লাওয়ার এয়ার লিংকার্স (লাইসেন্স নং- ২৭১, মোনাজ্জেম নং-৩৯৯৬), আরব ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস (লাইসেন্স নং- ১৮০, মোনাজ্জেম নং-১৫৪১)
এসব এজেন্সীকে অভিযোগ প্রমাণ বা মতামত সৌদি সরকারের কাছে জরুরি ভিত্তিতে অথবা ওই বিভাগের ই-মেইলে পাঠানোর জন্য অনুরোধ হল। একটি অনুলিপি ধর্ম মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্যও বলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত চিঠি পাঠিয়ে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
অভিযোগ সর্ম্পকে আল হাসান ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস এর স্বত্বাধিকারী হাসান দাউদ চৌধুরী বলেন, অন্য একটি এজেন্সীর মালিক সৌদি আরবে অবস্থানরত দু’জনকে টাকার বিনিময়ে পাস ছাড়া হজ্ব করার সুযোগ করে দেয়। তারা মিনার তাবুতের প্রবেশ করলে অন্য হাজীদের সাথে বিতন্ডা হয়। এ বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে মোয়াল্লেমের মাধ্যমে সমাধান করা হয়। কিন্তু এ ঘটনা কে বা কারা ভিডিও করে। এ বিষয়েই তার এজেন্সীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এর আগে সৌদি আরব কর্তৃক অভিযুক্ত ৬টি এজেন্সী হলো, জরিনা ইন্টারন্যাশনাল (লাইসেন্স নম্বর-১৪৮৬), আল মোযদালেফা এভিয়েশন (লাইসেন্স নম্বর- ৬৬৭), এসএমএসকে এয়ার ইন্টারন্যাশনাল (লাইসেন্স নম্বর- ৯৩৬), আল খিদমাহ ওভারসিজ (লাইসেন্স নম্বর- ১৫২৪), দেশ ও বিদেশ (লাইসেন্স নম্বর- ২৫৪) ও এস এন ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস (লাইসেন্স নম্বর- ১১৩৬)
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply