বরিশাল অফিস : বরিশালে বেড়েছে চাল, ডাল ও মুরগির দাম। সরু থেকে মোটা প্রায় সব ধরনের চালই কেজিতে দুই থেকে চার টাকা বেড়েছে। বড় ও ছোট দানার মসুর ডাল কেজিতে বেড়েছে পাঁচ থেকে দশ টাকা। এছাড়া ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। তবে আলু, দেশি পেঁয়াজ এবং চিনির দাম কিছুটা কমেছে।সোমবার (১০ জানুয়ারি) সকালে নগরীর বাংলা বাজার ও পুরান বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফুলকপি ৪০, বাঁধাকপি ২৫, টমেটো ৩০, শালগম ৩০, বেগুন ৬০, মুলা ২০, বরবটি ৮০, চিচিঙ্গা ৫০, করলা ৮০, শিম ৩০, পেঁপে ২০, শসা ৪০, ধনেপাতা ৮০, কাঁচা মরিচ ৫০ এবং মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে মাসের ব্যবধানে চার টাকা কমে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। অপরদিকে ৯০ টাকায় বিক্রি হওয়া বড় দানার ডাল কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে ১০ টাকা বেড়ে ছোট দানার মসুর ডাল কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। খুচরা বাজারে সরু মিনিকেট চাল কেজিতে বেড়েছে ৪-৫ টাকা। মিনিকেটের কেজি ৬৩-৬৫ টাকা। ভালো মানের বিআর-২৮ চাল কেজিতে দুই টাকা বেড়ে হয়েছে ৫২, মোটা গুটি ও স্বর্ণা চাল চার টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। দেশি পেঁয়াজের কেজি ৪০, ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৫, দেশি আদা ৭০, চীনা আদা ১৩০, দেশি রসুন ৬০, চীনা রসুন ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেট আটা ৪০, ময়দা ৫০ এবং চিনি চার টাকা কমে ৭৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি খোলা সয়াবিন ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬০ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির ১৫০ থেকে বেড়ে ১৬৫, কক ২৪০ থেকে বেড়ে ২৫০ ও সোনালি মুরগি ২৫০ থেকে বেড়ে ২৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের ডিমের হালি ৩৫ টাকা। মাঝারি সাইজের ইলিশ কেজিপ্রতি ১২০০ থেকে ১৩০০, শিং প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০, কাতল ৩৫০ থেকে ৬০০, মাঝারি সাইজের শোল ৬০০-৭০০, ছোট সাইজের চিংড়ি ৬০০-৭০০, কোরাল ৫০০-৫৫০, রূপচাঁদা ৩৫০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাংলা বাজারে কেনাকাটা করতে আসা রফিকুল ইসলাম জানান, কেনাকাটা করতে গিয়ে মানুষে নাভিশ্বাস উঠছে। মধ্য ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের অবস্থা শোচনীয় পর্যায়ে গেছে। নগরীর বাংলা বাজারের খুচরা মুদি দোকানি তোতা স্টোরের মালিক মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, মাসখানেকের ব্যবধানে চিনি, আলু ও দেশি পেঁয়াজের দাম কমেছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply