পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত রিংশাইন টেক্সটাইলকে কিনে নিচ্ছে দেশের অন্যতম শিল্প গ্রুপ ইউনিয়ন। কোম্পানিটিকে অধিগ্রহণ করার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আগ্রহ প্রকাশ করেছে গ্রুপটি। গত ১৮ মে গ্রুপটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সই করা একটি চিঠি বিএসইসিতে জমা দিয়েছেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসির একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, কমিশন বন্ধ হওয়া ও রুগ্ন কোম্পানিগুলো চালু করার জন্য কাজ করছে। রিংশাইন এক সময় বন্ধ ছিলো। নতুন পর্ষদ গঠন করার পর ৩০ শতাংশ ক্যাপাসিটিতে চলছে। এটিকে আমরা শতাভাগ ক্যাপাসিটিতে নিয়ে যেতে চাই।
তিনি বলেন,এই জন্য ফান্ড প্রয়োজন। একটি গ্রুপ কোম্পানিটিকে অধিগ্রহণ করতে চায়। কমিশনও সেই প্রস্তাবে প্রাথমিকভাবে সম্মতি দিয়েছে। কমিশন মনে করে কোম্পানিটি পুরোদমে চালু হলে দেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের স্বার্থও রক্ষা পাবে।
ইউনিয়ন গ্রুপ সম্পর্কে:
ইউনিয়ন গ্রুপ একটি শীর্ষস্থানীয় বহুমুখী গোষ্ঠি। গ্রুপটির টেক্সটাইল, মোবাইল ফোন, এভিয়েশন, রিয়েল এস্টেট থেকে শুরু করে অনেক খাতেই বিনিয়োগ রয়েছে। গ্রুপটির রয়েছে ধারাবাহিক সাফল্য। বছরের পর বছর ধরে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির স্বীকৃতি স্বরুপ গড়ে উঠেছে একটি শক্তিশালী আর্থিক পোর্টফোলিও।
গ্রুপটির পণ্য সবার চেয়ে আলাদা। তারা পণ্য মান নিয়ন্ত্রনে কোন আপোষ করে না। এতে তারা বিশ্বব্যাপী সোয়েটার শিল্পে সর্বোচ্চ পরিমান সুতা সরবরাহ করে থাকে। ইউনিয়ন গ্রুপের দেশে বিদেশে সুনাম রয়েছে।
ইউনিয়ন গ্রুপ প্রতি বছর ব্যবসার নতুন ক্ষেত্র যোগ করছে। এতে তাদের প্রতিষ্ঠানে তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান। বর্তমানে গ্রুপটিতে আট হাজার লোকের কর্মসংস্থান রয়েছে।
রিংশাইন টেক্সটাইল:
কোম্পানিটি ২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। বর্তমানে মোট শেয়ারের ৩১ দশমিক ৫৪ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কছে। বাকী শেয়ারের মধ্যে ১৬ দশমিক ২৩ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, দশমিক শূণ্য ৫ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও ৫২ দশমিক ১৮ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।
ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ডিইপিজেড) তাইওয়ানের মালিকানাধীন বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান রিংশাইন একটি শক্তিশালী কোম্পানি হিসেবেই পরিচিত ছিল। এর শ্রমিকসংখ্যা পাঁচ হাজারের বেশি ছিল।
১৯৯৬ সালে ডিইপিজেডে তাইওয়ানের নাগরিক মি সাও সোয়েটার কারখানাটি চালু করেন। ব্যবসায়িক সাফল্যে একে একে তিনি গড়ে তোলেন অ্যাভাস গার্ড লিমিটেড, শাইন ফ্যাশন লিমিটেড ও ইন্টার লগ লিমিটেড। এসব কারখানায় শ্রমিক ছিল আরও অন্তত সাত হাজার।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply