মামুন মোল্যা, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নড়াইল–১ (কালিয়া–নড়াগাতী-নড়াইল সদর আংশিক ) আসনে নির্বাচনী উত্তাপ বাড়তে শুরু করেছে।
জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী, মরহুম মেজর গাজী আশরাফ উল আলমের সুযোগ্য ভাতিজা, তরুণ আইনজীবী এডভোকেট গাজী মাহাবুয়াউর রহমান ইতোমধ্যেই প্রচার–প্রচারণা ও গণসংযোগে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। তিনি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে দেশব্যাপী পরিচিত।
গাজী পরিবার নড়াইলের সমাজসেবা, শিক্ষা, রাজনীতি ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরে অবদান রেখে আসছে।
তার সেজো চাচা গাজী মনিরুজ্জামান নিয়ামত ছিলেন ৭ নং জয়নগর ইউনিয়নের সাবেক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান। দায়িত্বশীলতা, উন্নয়ন, জনগণের কল্যাণ ও মানবিক সেবার জন্য তিনি স্থানীয় জনগণের কাছে ছিলেন আস্থার প্রতীক।
এডভোকেট ইমরানের পিতা গাজী আকরামুজ্জামান স্বাস্থ্য বিভাগের একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে সততা, ন্যায়পরায়ণতা ও সেবার মানসিকতা দিয়ে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়ে।ছিলেন।
এই পরিবারিক উত্তরাধিকারকে ধারণ করে এডভোকেট গাজী মাহাবুয়াউর রহমান শৈশব থেকেই আদর্শ, শৃঙ্খলা, শিক্ষা ও মানবিক মূল্যবোধে বেড়ে উঠেছেন। তার সঙ্গে কথা বললে গ্রামের অনেক মানুষ বলেন—
“গাজী পরিবারের সন্তানরা সবসময় মানুষের পাশে থাকে। ইমরানও তেমনই শালীন, মার্জিত ও ভদ্র। এলাকার মঙ্গল চাইতেই তিনি রাজনীতিতে আসছেন।”
নড়াইল–১ আসনের বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত—তিনি মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলছেন, খোঁজ নিচ্ছেন, সমস্যা শুনছেন, সমাধানের আশ্বাস দিচ্ছেন।
পথসভা, বাজার সফর, মোড়ের চায়ের দোকানে আড্ডা, উঠান বৈঠক, মসজিদ–মন্দির সংলগ্ন আলোচনাসভা, দোয়া মাহফিল—সবখানেই তার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
চর, গ্রাম, পাড়া–মহল্লা—যেখানে যাচ্ছেন, স্থানীয় মানুষের ভিড় জমছে। বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের উচ্ছ্বাস চোখে পড়ার মতো। অনেকে বলছেন—
“শিক্ষিত, তরুণ, পরিশ্রমী এবং পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির একজন প্রার্থীকে আমরা খুঁজছিলাম। ইমরান ভাই সেই প্রত্যাশা পূরণ করছেন।”
নড়াইল–১ আসনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, ঘনবসতিপূর্ণ গ্রাম, বাজার, চৌরাস্তাসহ জায়গায় জায়গায় তার সমর্থনে রঙ–বেরঙের ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড শোভা পাচ্ছে।
অনেকে এটি নির্বাচনী উৎসবের আগাম বার্তা হিসেবে দেখছেন।
পথচারীরা বলছেন—“নতুন নেতৃত্বের সন্ধান চলছে। ইমরানের প্রচার প্রচারণা গোছানো, সুন্দর এবং মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে।”
এডভোকেট গাজী মাহাবুয়াউর রহমান বলেন—“৬৮ হাজার গ্রাম বাঁচলে—বাংলাদেশ বাঁচবে। আর নড়াইল–১ আসন বাঁচবে মানুষের ঐক্য, উন্নয়ন এবং সুশাসনের মাধ্যমে। আমি নড়াইলের সন্তান হিসেবে এই এলাকা ও এর মানুষের কল্যাণে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
তিনি আরও বলেন—“শিক্ষা, কৃষি, সড়ক–যোগাযোগ, স্বাস্থ্যসেবা, নদীভাঙন প্রতিরোধ, দারিদ্র্য হ্রাস, নারী ও যুবসমাজের কর্মসংস্থান—এসব বিষয়কে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেব। কাগজে–কলমে নয়, মাঠে–মাটির উন্নয়নই হবে আমার মূল লক্ষ্য।”
তার ধারাবাহিক গণসংযোগে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসাহ–উদ্দীপনা বাড়ছে। বহুদিন পর এ আসনে একজন ভদ্র, শিক্ষিত, পরিশ্রমী এবং নতুন প্রজন্মের নেতা হিসেবে তাকে গ্রহণ করছে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ।
কৃষক, দিনমজুর, নারী সংগঠন, স্থানীয় ব্যবসায়ী, শিক্ষক–শিক্ষার্থী—সবাইই বলছেন—
“পরিবর্তনের সময় এসেছে। এলাকার উন্নয়ন ও নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য ইমরান ভাই ভালো নেতা হবেন।”
জাতীয় পার্টির তরুণ ও যোগ্য নেতৃত্ব হিসেবে তিনি ইতোমধ্যেই মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় ফোরামেও সুনাম অর্জন করেছেন। নড়াইল–১ আসনে তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিও দলের জন্য ইতিবাচক সিগন্যাল হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে নড়াইল–১ আসনে নির্বাচনী মাঠ এখন প্রাণচঞ্চল। এই পরিবর্তন–উন্নয়ন ও নতুন নেতৃত্বের প্রত্যাশার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন এডভোকেট গাজী মাহাবুয়াউর রহমান (ইমরান)।
গাজী পরিবারের ঐতিহ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশাগত দক্ষতা ও জনসেবার মনোভাব তাকে আরও এগিয়ে নিচ্ছে।
নির্বাচন ঘনিয়ে এলে এই প্রচারণা আরও বেগবান হবে—এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply