মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০২:২৩ পূর্বাহ্ন

চুয়াডাঙ্গায় কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ কমিটির সভা: সারের পর্যাপ্ততা ও সঠিক ব্যবহার নিয়ে আলোচনা, কৃষকদের পাশে থাকার অঙ্গীকার

মোঃ আব্দুল্লাহ হক
  • আপডেট : সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫

মোঃ আব্দুল্লাহ হক, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে জেলা কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে সোমবার, ১৩ অক্টোবর সকাল ১০টায় রবি ২৫-২৬ মৌসুমে সারের পর্যাপ্ততা, এর সঠিক ব্যবহার এবং কৃষির আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মাসুদুর রহমান সরকার সভায় সভাপতিত্ব করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার মোঃ নুরুল ইসলাম, বারি পিএসও হেড কুষ্টিয়া মোঃ মাহবুবুর রহমান দেওয়ান, চুয়াডাঙ্গা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালক সেন দেবাশীষ, এডিডি (পিপি) ডিএই চুয়াডাঙ্গা মিঠু চন্দ্র অধিকারী, চুয়াডাঙ্গা সদর কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ আসিফ ইকবাল, জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসার আলমগীর হোসেন, আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মাসুদ হোসেন পলাশ, জীবননগর কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ পাভেল রানা, বারি কুষ্টিয়ার এসএ মোঃ রাসেল কবির, চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত হার্টিকালসার কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মালেক, বিনা উপকেন্দ্র মাগুরার এস এম ও ডঃ সুশান চৌহান, এবং জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষ্ণ রয়। এছাড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

সভায় সভার সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মাসুদুর রহমান সরকার জানান, চুয়াডাঙ্গায় সারের কোনো সংকট নেই। তিনি উল্লেখ করেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর সরকার চুয়াডাঙ্গায় সারের বেশি বরাদ্দ দিয়েছে। তিনি কঠোরভাবে হুঁশিয়ারি দেন যে সার কারসাজি বা অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, কৃষকরা তাদের জমিতে বেশি সার ব্যবহার করছেন, যার কারণে সারের চাহিদা বেশি মনে হচ্ছে। এ বিষয়ে কৃষকদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান এবং গণমাধ্যমসহ সকলকে সারের সুষম বন্টন সম্বন্ধে প্রচার করার অনুরোধ জানান। গুজবে কান না দিয়ে সঠিকভাবে সার ব্যবহার করার আহ্বান জানান তিনি। আগামী চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গায় ৪৭,৯৫২ জমিতে ভুট্টার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ।

বারি পিএসও হেড কুষ্টিয়া মোঃ মাহবুবুর রহমান দেওয়ান তার বক্তব্যে বলেন, সারের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের কারণেই মূলত সারের সংকট দেখা দিচ্ছে। তিনি সতর্ক করে দেন যে অতিরিক্ত সার ব্যবহারের ফলে জমির ক্ষতি হচ্ছে এবং পরবর্তীতে আবার আবাদ করতে অতিরিক্ত সারের প্রয়োজন হচ্ছে।

কর্মকর্তারা আরও জানান, আবাদি জমির পাশাপাশি পুকুরে মাছ চাষ ও তামাক আবাদসহ এমন কিছু ক্ষেত্রে বেশি সার প্রয়োগ করা হচ্ছে যেগুলোর জন্য সাধারণত বরাদ্দ থাকে না। এতে সামগ্রিকভাবে সারের চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে এবং কৃষকদের উৎপাদন খরচও বাড়ছে।

সভায় নতুন নতুন ফসলের জাত নিয়ে আলোচনা করা হয়। কর্মকর্তারা চুয়াডাঙ্গার কৃষিকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে তোলার লক্ষ্যে কৃষির আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে গুরুত্বারোপ করেন।

উপস্থিত সকল কর্মকর্তা জেলার কৃষকদের পাশে থাকার এবং সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS