বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
নির্বাচনী প্রার্থীদের আয়কর রিটার্নে প্রার্থীদের সহায়তায় এনবিআরের উদ্যোগ তারেক রহমানের দেশে আসার প্রভাব হবে খুবই ইতিবাচক বলে মন্তব্য প্রেস সচিবের পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে ৭ লাখ ১৭ হাজার ভোটারের নিবন্ধন নগদ সহায়তার মেয়াদ আরও ৩ বছর বাড়ানোর দাবি বিটিএমএ-র স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়েছে ডিবিএ ২৬ ডিসেম্বর ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন-২০২৫ শেখ হাসিনার জন্মদিন পালন করা সহ বিভিন্ন মিছিল করে নাশোকতার মামলায় ছাত্রলীগ সভাপতি সুজন সহ গ্রেফতার ০৭ রাজিবপুর সদর ইউনিয়নে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ ময়মনসিংহ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে মোবাইল কোট পরিচালিত বিভাগীয় পর্যায়ে আন্তঃকলেজ ফুটবলে ময়মনসিংহ জেলা সেরা

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩০.৮৭ বিলিয়ন ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫
  • ১৩ Time View

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

রোববার (২৪ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

তবে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম-৬) পদ্ধতি অনুসারে, বাংলাদেশের নিট রিজার্ভ বর্তমানে ২৫ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিয়ে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়। তবে এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, তা হ‌লো ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এ তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেখানে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়।

বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান দুই উৎস—প্রবাসী আয় ও পণ্য রপ্তানিতে ইতিবাচক ধারা বজায় থাকায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্বস্তি ফিরেছে। এতে করে রিজার্ভের ওপর যে চাপ দীর্ঘদিন ধরে বিরাজ করছিল, তা অনেকটাই কমে এসেছে। টানা ১০ মাস ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি না করায় পরিস্থিতি আরও স্থিতিশীল হয়ে উঠছে।

এরই মধ্যে দেশের ব্যাংক খাত, রাজস্ব প্রশাসন ও সামষ্টিক অর্থনীতিতে সংস্কারমূলক পদক্ষেপের কারণে বাজেট সহায়তা ও ঋণসহ কয়েক বিলিয়ন ডলার বিদেশি অর্থ সহায়তা দেশে আসছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধীরে ধীরে বাড়ছে।

অন্যদিকে, আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রিত থাকায় এবং রপ্তানি ও প্রবাসী আয় বাড়ায় ডলারের চাহিদাও কমেছে। যার প্রভাবে টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময়মূল্য সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। তবে ডলারের দাম অত্যধিক কমে না যায়, তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি মাসে নিলামের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে ডলার কিনেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার (৪৮ বিলিয়ন)। তখন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নজিরবিহীন অর্থপাচার ও বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ নানা কারণে কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বড় ধরনের চাপের মুখে পড়ে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন (রিজার্ভ)। বড় ধরনের বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়ে ক্রমাগত চলতি হিসাবের ঘাটতিও বেড়েছিল বাংলাদেশের। ডলারের বিপরীতে টাকা দর অবনমন হতে থাকলে প্রভাব পড়ে জ্বালানির দর ও আমদানিতে। সংকটে মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি শুরু করে। ফলে আস্তে আস্তে তলানিতে নামে রিজার্ভ। ওই সময় রিজার্ভ বাড়াতে বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রার সহায়তা নিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা চেয়ে ২০২২ সালের জুলাইতে আবেদন করে বাংলাদেশ।

মূলত চলতি হিসাবে বড় ধরনের ঘাটতি, টাকার অবমূল্যায়ন এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছে এই ঋণ সহায়তা চায়।

Please Share This Post in Your Social Media

Comments are closed.

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS