শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১০:৪৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
নতুন বাংলাদেশের রূপরেখা দেবে এনসিপি ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি বগুড়া জেলা কমিটি গঠিত ২০ বছর ধরে কর্মস্থল থেকে বেপরোয়া সিলেট টিটিসির অধ্যক্ষের ড্রাইভার বিল্লাল সিলেটের জকিগঞ্জ ৮ গ্রাম থেকে নিখোজ এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার ইসলামী ব্যাংক রংপুর ও বগুড়া জোনের অর্ধ-বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি. এর ৪১৫তম বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত আমরা ধীরে ধীরে মারা যাচ্ছি ত্রিদেশীয় সিরিজের সূচি ঘোষণা করলো পাকিস্তান গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার রূপকল্প জুলাই ঘোষণাপত্র: তথ্য উপদেষ্টা ৩৩ বছর পর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এলো শাহরুখের ঘরে

আমরা ধীরে ধীরে মারা যাচ্ছি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫

চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘ-সমর্থিত ক্ষুধা বিশেষজ্ঞরা আনুষ্ঠানিক নিশ্চিত করেছেন যে ‘দুর্ভিক্ষের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি’ গাজায় বিকশিত হচ্ছে। অবশ্য গাজার মানুষদের জন্য এই নিশ্চিতিকরণ প্রয়োজন ছিল না। কারণ কয়েক মাস ধরে তারা তাদের সন্তানদের ক্ষুধার কারণে মরতে দেখেছেন।

মধ্য গাজার মাঘাজির ৩৮ বছর বয়সী জামিল মুগারি বলেন, “আমার সব সন্তানের শরীরের ওজন প্রায় অর্ধেক কমে গেছে। আমার পাঁচ বছর বয়সী মেয়ের ওজন এখন মাত্র ১১ কেজি। আমার ছেলে মোহাম্মদ কেবল চামড়া এবং হাড় হয়ে গেছে। আমার সব সন্তানের অবস্থা এমন। আমার নিজের ওজন আগে ৮৫ কেজি ছিল, এখন আমার বয়স ৫৫-এ নেমে এসেছে।”

পরিবারের জন্য খাবার খুঁজে বের করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি ধরে রাখতে জামিল লড়াই করছেন।

তিনি বলেন, “মাঝে মাঝে রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে আমার মাথা ঘোরে এবং আমি প্রায় পড়ে যাই। কিন্তু আমি নিজেকে সোজা থাকতে বাধ্য করি। আমি মাঝে মাঝে কাঁপুনি অনুভব করি।”

সপ্তাহের ব্যবধানে, গাজা দুটি ভয়াবহ মাইলফলক অতিক্রম করেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনি মৃতের সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তবে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া ব্যক্তিদেরসহ প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি হতে পারে।

বোমা এবং বন্দুকযুদ্ধের সাথে সাথে দুর্ভিক্ষের কারণে নির্বিচারে হত্যার শিকার মানুষের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। মঙ্গলবার, জাতিসংঘ এবং অন্যান্য সাহায্য সংস্থার বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল বলেছে, 
“গাজা উপত্যকায় বর্তমানে দুর্ভিক্ষের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি চলছে।”

ইসরায়েলের বিধিনিষেধের কারণে গাজায় এখন খাবার প্রায় অস্তিত্বহীন উল্লেখ করে জামিল বলেন, “আমরা এক বা দুই সপ্তাহ ধরে কোনো আটা ছাড়াই চলতে পারি। কখনো কখনো আমরা দিনে মাত্র একবারই খাই; ডাল, এবং কখনোা কখনো আমরা খাওয়ার জন্য কিছুই পাই না আমরা কেবল পেট ভরে রাখার জন্য পানি পান করে দিন কাটাই।”

জামিলের ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছে এবং তার সব সন্তানই ১২ বছরের কম বয়সী। খাবারের জন্য তারা জীবনের ঝুঁকি নিতে চাইলেও, তারা তা করতে পারছে না।

তিনি বলেন, “আমি আমার সন্তানদের খাবার সরবরাাহের জন্য অবিচল থাকার চেষ্টা করি। আমরা বিশ্বকে অনেক বার্তা পাঠিয়েছি, কিন্তু কেউ আসেনি। আমরা আর কী বলব জানি না। আমি বিশ্বকে শুধু এটুকুই বলতে পারি যে আমরা ধীরে ধীরে মারা যাচ্ছি, এই ট্র্যাজেডি থেকে আমাদের বাঁচান।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS