সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
ভৈরবে মাদক সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ ১০ দফা দাবিতে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের মানববন্ধন মাইগ্রেশনের দাবি আইচি মেডিকেলের ১৫০ শিক্ষার্থীর ভৈরবে হাসপাতালে ভর্তির পর খোঁজ নেননি পরিবার, ৪৮দিন পর ব্যক্তির মৃত্যু আইবিটিআরএ-তে ‘সার্টিফিকেশন কোর্স অন ট্রেজারি ডিলিংস’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু শহীদ ছাত্র জনতার আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা চকবাজার থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল সিলেটে তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের আয়োজনে ‘ইনভেস্টমেন্ট অপারেশনস্ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ মেট্রোরেলে ১৮ দিনে আয় ২০ কোটি টাকা

ঝালকাঠিতে শতবর্ষে রেইনট্রি তলাই হতে পারে বিনোদন কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১০ মে, ২০২২
  • ৭২ Time View

বরিশাল: ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় নাই কোন বিনোদন কেন্দ্র। তাই সব বয়সি মানুষ বিনোদনের জন্য ভিড় জমায় উপজেলার মগর ইউনিয়নের মিরহার গ্রামের রেইনট্রি গাছ তলায়। সুগন্ধা নদীর পারে প্রায় ১৭৫ বছর বয়সী গাছটি এখনো ঠালপালা চার দিকে মেলে দাঁড়িয়ে আছে । কৃষকরা ক্ষেতে কাজ করে ক্লান্ত হয়ে পরলে রেইনট্রি গাছের তলায় এসে বিশ্রাম নেয়। চার পাশে ক্ষেতের মাঝ খানে নদীর কাছে গাছটি তার অপরূপ সৌন্দর্য মেলে ধরেছে। বছরে কম বেশি মানুষের আনাগোনা থালেও। যে কোন উৎসবে ভিড়টা কিছুটা বেরে যায়। অনেকে পিকনিক করতে এখানে আসে। তবে বিদ্যুৎ, টয়লেট রেস্ট হাউস না থাকায় ভ্রমন কারিরা সব সময় এখানে আসতে তেমন কোন আগ্রহ দেখায় না।
সড়ক পথেও নদী পথে আসার ব্যবস্থা থাকলেও সড়কের সংস্কার কাজ না হওয়ায় চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে। এলাকার বাসিন্দা আশিক বলেন পূর্ব পুরুষগণ থেকেই এই গাছটি দেখে আসছে এ গাছটি কেউ রোপন করেনি বলে আমরা মুরুব্বিদের কাছ থেকে জেনেছি, এটা নাকি এমনিতেই এখানে হয়েছে। বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড়ের গাছটির বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তবে গাছটি বিলিন হয়ে যায়নি। আমরা সময় পেলে পরিবারের লোকজন নিয়ে প্রায় সময় ঘুরতে আসি । এই রেইনট্রি গাছটি সুগন্ধা নদীর তীরবর্তী হওয়ায় মানুষের নজর কেড়েছে । এখানে নদীর সুজাবাদ চরে সরকারি ব্যবস্থানায় বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণ করা হলে অনেক পর্যাটকরা ভিড় জমাবে। খোলামেলা যায়গা নদী দেখতে অনেকেরই ভালো লাগবে।
নলছিটি নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হাসান আলম সুমন জানান,আমরা প্রতি বছর চুড়াইবাতির ব্যানারে রেইনট্রি গাছের পাশে সুজাবাদের চরে সুশীল সমাজের লোকজনকে নিয়ে একটি পিকনিক আয়োজন করে থাকি , এখানের পরিবেশটা খুব ভালো সুজাবাদ চর ও শতবর্ষী রেইনট্রি গাছ পাশে রয়েছে সুগন্ধা নদী দেখার ও উপভোগ করামত সৌন্দর্যের লীলাভূমি।
সুজাবাদ চর একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা বাংলার সুবেদার মোঘল সম্রাট শাজাহানের পুত্র শাহজাদা সুজা ওখানে একটি কেল্লা নির্মাণ করেন। মোগল শাসনামলের শেষভাগে ঝালকাঠি অঞ্চল মগ ও পর্তুগিজ জলদস্যুদের লুণ্ঠনের প্রধানক্ষেত্রে পরিণত হয়। জলদস্যুদের শায়েস্তা করার উদ্দেশ্যে বাংলার সুবেদার পুত্র শাহজাদা সুজা ১৬৫৪ সালে সুজাবাদ গ্রামের প্রবর্তন করে এখানে দুইটি কেল্লা নির্মাণ করেন। উভয় কেল্লা গুলো অস্তিত্ব না থাকলেও সুগন্ধা নদীর পাশের চরটি সুজাবাদের চর নামে পরিচিত। এখানেই সরকারি ব্যবস্থাপনায় বিনোদন প্রেমিদের জন্য গড়ে উঠতে পারে পর্যাটক কেন্দ্র । 
এ ব্যাপারে মগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ শাহীন বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা সুগন্ধা নদীর তীর সুজাবাদের চরে পাশে একশত বছরের অধিক রেইনট্রি গাছটি প্রাচীতম ঐতিহ্য বহন করে, এই স্থানকে বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলা হলে বিভিন্ন পর্যাটকরা ঘুরতে আসতো তবে আমাদের ইউনিয়ন পরিষোদের এখাতে অর্থ ব্যবস্থাপনা না থাকায় তেমন কোন কার্যক্রম চালানো সম্ভব হয়নি। তবে ওই স্থানকে বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আমরা মন্ত্রণালয় একটি প্রস্তাবনা প্রেরণ করার চেষ্টা করবো।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS