সম্প্রতি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ সংরক্ষণ ও সরবরাহ আরও সহজ করার লক্ষ্যে হুয়াওয়ে একটি উন্নত এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম নিয়ে এসেছে। ঢাকায় হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ‘হুয়াওয়ে ডিজিটাল পাওয়ার পার্টনার সামিট ২০২৫’-এ হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া ডিজিটাল পাওয়ার বিজনেসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর নি জিয়াওপেং (লিয়াম) এই নতুন ইএসএস সিস্টেমটি দেশের বাজারে উন্মোচন করেন।
বাংলাদেশে বিদ্যুতের যে ক্রমবর্ধমান চাহিদা রয়েছে তা পূরণ করতে সৌরবিদ্যুতের উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে অনেক সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে সৌরবিদ্যুত প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সৌরপ্রকল্পগুলোতে বিদ্যুৎ সংরক্ষণ প্রযুক্তির অভাব রয়েছে। হুয়াওয়ের এই নতুন ইএসএস সিস্টেম লুনা ২০০০-২১৫ সমস্যাগুলো দূর করবে। হুয়াওয়ের উচ্চদক্ষতা সম্পন্ন এই নতুন এন+১ জেনারেশন লিকুইড অ্যান্ড এয়ার ইন্টেলিজেন্ট কুলিং এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেমটি (ইএসএস) বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এটি অন-গ্রিড ও অফ-গ্রিড
২০২৫’-এর মাধ্যমে আমরা এমন একটি সহযোগিতামূলক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চাই, যা বাংলাদেশে
নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারকে ত্বরান্বিত করবে।”
হুয়াওয়ের একটি সহযোগী ইপিসি প্রতিষ্ঠান কিংসান বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি হেড মো. রাশেদুল করিম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সৌরশক্তি খাতে হুয়াওয়ের নতুন এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম বড় পরিবর্তন আনবে। এটি যেমন সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর দক্ষতা ও জ্বালানিব্যবহারের সক্ষমতা বাড়াবে, তেমন আমাদের মতো ইপিসি প্রতিষ্ঠানগুলোকে গ্রাহকদের বাড়তি সুবিধা দিতে সাহায্য করবে। স্মার্ট ও নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আমরা আরও দক্ষতার সাথে প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি দেশে নির্ভরযোগ্য, টেকসই এবং আধুনিক শক্তি নিশ্চিত করতে পারবো।”
বাংলাদেশ সরকার নবায়নযোগ্য শক্তির উৎপাদনে একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ নির্ধারণ করেছে। হুয়াওয়ে এই খাতে বাংলাদেশের অন্যতম দীর্ঘমেয়াদি সহযোগী। ২০২১ সাল থেকে হুয়াওয়ে দেশে নবায়নযোগ্য শক্তি খাতে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করে আসছে। এর মধ্যে রয়েছে ময়মনসিংহের ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন প্রকল্প এবং ভোলার মনপুরা উপজেলায় দেশের প্রথম ও সর্ববৃহৎ মাইক্রোগ্রিড, যার সক্ষমতা ২২ মেগাওয়াট। শুধু ২০২৩ সালেই হুয়াওয়ে সফলভাবে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ৭২টিরও বেশি সোলার রুফটপ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। ২০২৪ সালে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে ৫টি নতুন ডিজিটাল পাওয়ার পণ্য বাজারে নিয়ে আসে। নতুন এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেমটি বাংলাদেশে নিয়ে আসা হুয়াওয়ের দ্বিতীয় ইএসএস সল্যুশন।
হুয়াওয়ে ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে:
হুয়াওয়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় একটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি), টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো ও পরিষেবা এবং স্মার্ট ডিভাইস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। এর লক্ষ্য হলো সম্পূর্ণভাবে সংযুক্ত ও বুদ্ধিবৃত্তিক একটি বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য প্রতিটি ব্যক্তি, বাড়ি এবং প্রতিষ্ঠানের কাছে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেওয়া।
বাংলাদেশে ২৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে হুয়াওয়ে থ্রিজি, ফোরজি এবং ফাইভজি প্রযুক্তির মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ খাতকে সহযোগিতা করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি হুয়াওয়ে ক্লাউড সল্যুশন, ডিজিটাল পাওয়ার সল্যুশন ও মোবাইল আর্থিক পরিষেবা প্ল্যাটফর্ম প্রদান করছে এবং দেশের প্রায় প্রতিটি খাতে আইসিটি অন্তর্ভুক্তিকে ত্বরান্বিত করেছে। এছাড়া কর্পোরেট সামাজিক দায়িত্ব পালনে, বিশেষ করে প্রতিভা বিকাশে হুয়াওয়ে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে ভূমিকা পালন করে আসছে।
দেশের আইসিটি অবকাঠামোর অবিচ্ছেদ্য অংশ ও আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার সহযোগী হিসেবে হুয়াওয়ে একটি সম্পূর্ণভাবে সংযুক্ত ও বুদ্ধিবৃত্তিক বাংলাদেশ গড়তে সবসময় এর সাথে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
হুয়াওয়ে; বাংলাদেশে, বাংলাদেশের জন্য।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply