নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আজ ১৩ মে সকাল ১১ টায় ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে স্বরনসভায় ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান এবং ভাসানী অনুসারী পরিষদ এর আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু সভাপতির বক্তব্যে বলেন, জাতীয় সংগীত গাইতে না দেয়ার ধৃষ্টতা স্বাধীন বাংলাদেশে মেনে নেয়া হবে না। শাহবাগে স্লোগান শুনলাম নিজামীর বাংলাদেশ, গোলাম আজমের বাংলাদেশ। তাদের বলতে চাই এই বাংলাদেশ মাওলানা ভাসানীর বাংলাদেশ, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বাংলাদেশ, শেখ মুজিবের বাংলাদেশ, মেজর জিয়ার বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মানুষ ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে বিদায় করেছে। এখন জুলাই -আগষ্টের হত্যাকান্ডের জন্য শেখ হাসিনার বিচার হতে হবে। হাসিনার সাথে যারা যারা জড়িত ছিলো তাদের বিচার হতে হবে। জাতীয় পার্টিরও বিচার হতে হবে। দেশ গভীর সংকটে আছে এই সংকটকালীন সময়ে ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতো দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের খুব দরকার ছিলো। তার সারাজীবন তিনি মানুষের সেবায় কাটিয়েছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন বিশ্বখ্যাত ব্যক্তি। তিনি জনগণের সেবায় নিয়োজিত থেকেছেন কিন্তুু কোনদিন পাবলিসিটি করেন নাই। সকলকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন। দেশের ও মানুষের জন্য কাজ করতে যাকে কল দেয়া দরকার, যেখানে যাওয়ার দরকার তাই করেছেন। উনার সার্বিক যে অবদান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে তা অবিস্মরণীয়। উনি আমৃত্যু মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আজকে ফ্যাসিস্টের পতনের পেছনে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরাট অবদান আছে। উনার নেতৃত্বে গনতন্ত্র মঞ্চ তৈরি হয়েছে। ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন বিধায় হাসিনার পতন ঘটেছে। ২০২২ সালে গোলাপবাগ মাঠে আমাদের মহাসমাবেশ চলাকালীন হুইল চেয়ারে হঠাৎ উপস্থিত হলেন ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এভাবে আমাদের সাহস যুগিয়েছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানুষের গনত্রান্ত্রিক মালিকানা ফিরিয়ে আনতে হলে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন এর দরকার। এখন যারা সংস্কার এর কথা বলে এদের অনেকেই শেখ হাসিনার সময়ে গর্তে ছিলো, আজ তারা গর্ত থেকে বেরিয়ে আমাদের সংস্কারের গল্প বলছে। আমরা শেখ হাসিনা থাকা অবস্থায় সবার সাথে আলোচনার ভিত্তিতে ৩১ দফা তৈরি করেছি। দিনশেষে গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বাংলাদেশের মানুষের সমর্থনের ভিত্তিতে সংস্কার হতে হবে।
প্রতিটা রাজনৈতিক দল সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে। কোথায় ঐক্যমত হয়েছে সেটি জনগন জানতে চায়। যদি ঐক্যমত না হয় তবে সংস্কার চাপিয়ে দিলে জনগন সেটি মানবে না। শেখ হাসিনার মতো নিজের ইচ্ছামত সিদ্ধান্ত জনগনের উপর চাপিয়ে দিলে জনগন মানবে না।আজ মানবিক করিডোর কার এজেন্ডা? কার স্বার্থে বাংলাদেশের স্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ইন্টেরেম সরকার? তাদের আচরণে মনে হচ্ছে তারা নির্বাচিত সরকার। গত ৯ মাসে বাংলাদেশে কোন বিনিয়োগ হয় নাই, নির্বাচিত, স্থিতিশীল সরকার না আসা পর্যন্ত কেউ বিনিয়োগ করবে না।
ভাসানী জনশক্তি পার্টির মহাসচিব ড. আবু ইউসুফ সেলিম এর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন,রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এর আহবায়ক হাসনাত কাইয়ুম, গণসংহতি আন্দোলন এর রাজনৈতিক পরিষদ এর সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পু, ভাসানী জনশক্তি পার্টির সিনিয়র প্রেসিডিয়াম মেম্বার মোঃ আবদুল কাদের, পারভীন নাসের ভাসানী, রফিকুল ইসলাম খান, বাবুল বিশ্বাস,জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাত, গনস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ক্যানসার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডাঃ হাবিবুল্লাহ তালুকদার।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply