মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ০৪:১৩ অপরাহ্ন

স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় ফার্মাসিস্ট যুক্ত করার কথা ভাবছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শনিবার, ৩ মে, ২০২৫

সরকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় ফার্মাসিস্টদের যুক্ত করতে পদ সৃজনের কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান। একই সঙ্গে ক্যারিয়ার পরিকল্পনার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ফার্মাসিস্টকে গুরুত্ব দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিলের উদ্যোগে আয়োজিত ‘স্বাস্থ্যসেবায় হাসপাতালে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের ভূমিকা এবং নিয়োগদান’ বিষয়ক অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, বর্তমান চর্চা অনুযায়ী হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সদের মধ্যে একটি সামঞ্জস্য রয়েছে, তবে ফার্মাসিস্ট একটি পৃথক বিষয়। নতুন গাইডলাইনে আমরা হাসপাতালে ফার্মাসিস্ট পদ সৃষ্টি করছি। তবে ক্যারিয়ার পরিকল্পনার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ফার্মাসিস্টকেও মাথায় রাখতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেকে হয়তো বলবেন—ফার্মাসিস্ট দোকানে কীভাবে বসবে? আসলে মানি বা না মানি, আমাদের অনেক মানুষ ওখান থেকেই সেবা নিয়ে জীবন পার করেছেন। তারাও সমাজের একটি বড় অংশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় তিনি ফার্মাসি বিভাগের শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, পাঠ্যক্রমে পরিবর্তনের পাশাপাশি ফার্মাসি শিক্ষার্থীদের মানসিকতায়ও পরিবর্তন আনতে হবে। তাদের এমনভাবে উৎসাহিত করতে হবে যেন তারা স্বাস্থ্যসেবায় যুক্ত হতে আগ্রহী হয়। যেমন—চিকিৎসকরা শুরু থেকেই জানেন তাদের গ্রামে গিয়ে কাজ করতে হতে পারে, তেমনি এখানেও প্রতিষ্ঠিত করতে হবে যে, একজন গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টের উপস্থিতিতেই একটি ওষুধের দোকান ‘ফার্মেসি’ হিসেবে গণ্য হবে।

বিশেষ সহকারী বলেন, ‘আমরা নতুন কিছু উদ্যোগ নিচ্ছি। এসব উদ্যোগকে স্বাগত জানাতে হবে। আমরা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় ফার্মাসিস্টদের রাখার জন্য পদ তৈরি করছি। আপনাদেরও টিমওয়ার্কের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’

হাসপাতালের সেবার মান খারাপ হওয়ার পেছনে মূল কারণ হিসেবে সামর্থ্যের চেয়ে রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়াকেও দায়ী করেছেন অধ্যাপক সায়েদুর রহমান।

সরকারি হাসপাতালে ফার্মাসিস্টের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে উল্লেখ করে ফার্মেসি কাউন্সিলের সভাপতি ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান বলেন, ৬০০ শয্যার হাসপাতালে ফার্মাসিস্টদের জন্য ছয়টি পদ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এগুলো ব্লক পদ হিসেবে রাখা হয়েছে, যেখানে পদোন্নতির সুযোগ নেই। ফলে মেধাবী ফার্মাসিস্টরা এসব পদে আগ্রহ হারাতে পারেন। ভবিষ্যতে এই বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে হবে।

সভায় ফার্মেসি কাউন্সিলের সহসভাপতি অধ্যাপক চৌধুরী মাহমুদ হাসান বলেন, ‘চিকিৎসকরা সাধারণত চান না কেউ তার চিকিৎসাপত্রে হস্তক্ষেপ করুক। তবে এই মানসিকতা ভাঙতে হবে। আসুন, আমরা শুরু করি। হয়তো সব জায়গায় সম্ভব হবে না, তবে অন্তত হাসপাতালগুলোতে এটি শুরু করা যেতে পারে।’

কাউন্সিলের হাসপাতাল কমিটির সভাপতি নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠানটির সচিব মাহবুবুল হক।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS