মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ০২:০৯ অপরাহ্ন

কুয়েটের ভিসি ও প্রো-ভিসিকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য (ভিসি) এবং উপ-উপাচার্যকে (প্রো-ভিসি) দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে
জানা গেছে, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলামকে অব্যাহতির প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুয়েটে সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে।

মো. মামুন অর রশিদ জানান, অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে বলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আদেশে উল্লেখ করা হয়।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক লোক আহত হন। পরদিন প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। ওই দিন দুপুরে সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

২৫ ফেব্রুয়ারি সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবিতে ১৩ এপ্রিল বিকেল থেকে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন।

গত ১৪ এপ্রিল সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। গতকাল বুধবার সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়াও বিকেল থেকে ছাত্রদের ৬টি ও ছাত্রীদের ১টি হল খুলে দেওয়া হয়েছে।

এসব ঘটনায় কুয়েট উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের এক দফা দাবিতে ২২ এপ্রিল বিকেল থেকে আমরণ অনশনে বসেছিলেন ২৯ শিক্ষার্থী।

বুধবার শিক্ষা উপদেষ্টা গিয়ে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ভিসির পদত্যাগের আলটিমেটামে দেন। তবে কুয়েট ভিসি বলেছিলেন, সরকার তাকে না সরালে নিজে থেকে পদ ছাড়বেন না। শেষ পর্যন্ত সরকার-ই তাকে ভিসির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS