রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
ভৈরবে মাদক সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ ১০ দফা দাবিতে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের মানববন্ধন মাইগ্রেশনের দাবি আইচি মেডিকেলের ১৫০ শিক্ষার্থীর ভৈরবে হাসপাতালে ভর্তির পর খোঁজ নেননি পরিবার, ৪৮দিন পর ব্যক্তির মৃত্যু আইবিটিআরএ-তে ‘সার্টিফিকেশন কোর্স অন ট্রেজারি ডিলিংস’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু শহীদ ছাত্র জনতার আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা চকবাজার থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল সিলেটে তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের আয়োজনে ‘ইনভেস্টমেন্ট অপারেশনস্ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ মেট্রোরেলে ১৮ দিনে আয় ২০ কোটি টাকা

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কিবরিয়া মিয়াজির পক্ষ্য থেকে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ৩ মে, ২০২২
  • ৬০ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের সর্বস্তরের মানুষকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গোলাম কিবরিয়া মিয়াজি।সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনায় আমরা যে ত্যাগ ও সংযমের শিক্ষা লাভ করেছি তা যেন সব ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিফলন ঘটে।
মাহে রমজানের আত্মশুদ্ধির মহান দীক্ষার মধ্য দিয়ে আসে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আনন্দঘন মুহূর্ত। সেই মুহুর্ত মুসলমানদের নিবিড় ভাতৃত্ববোধে উদ্বুদ্ধ করে। তাই ইসলামের শ্বাসত শিক্ষায় ধনী-গরিব সবাই ভেদাভেদ ভুলে দেশকে আরো এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। পবিত্র ঈদুল ফিতরের খুশির দিনে দেশ ও মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে পক্ষে শপথ নিতে সকলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ঈদের আনন্দ আমরা সবাই ভাগাভাগি করে নিব আপনার আমার আশেপাশে গরীব অসহায় মানুষের পাশে দাড়াবো।সবাই কে আবারও ঈদের শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক

তিনি  আরো বলেন, মুসলিম উম্মাহর জাতীয় সংস্কৃতির অন্যতম উৎসব হচ্ছে ঈদ। ব্যক্তি পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, সংস্কৃতি ঈদের এ আনন্দে একাকার হয়ে যায়। ঈদ উৎসবের মূল উপজীব্য হচ্ছে মানুষ। যে মানুষ দীর্ঘ এক মাস সিয়াম ও কিয়ামের মাধ্যমে ধৈর্য, সংযম, মানবিক ত্রুটি থেকে মুক্ত হতে পেরেছে। যে রোজাদার মুসলমান রমজান মাসব্যাপী সিয়াম পালনে কষ্ট করেছে, এ ঈদ এবং ঈদের আনন্দও রোজাদার মুসলমানের জন্য।
ঈদ হচ্ছে ইসলামি জীবন-দর্শণের সফলতার সম্মিলন। কারণ ঈদ উৎসবের মূলে রয়েছে আত্মার পরিশুদ্ধি এবং চরিত্রিক উন্নতি সুসংবাদ। আর এ উৎসবে মানুষে মানুষে ভালবাসা ভাগাভাগি করে নেয়। যে উৎসবে বিরাজ করে জান্নাতি পরিবেশ। তাই হিংসা-বিদ্বেষ, ভুলে গিয়ে ঈদ আনন্দ হোক মানব প্রেমে ঝলসে ওঠার অনন্য অঙ্গীকার।
রমজানের  মাসব্যাপী সিয়াম সাধনায় মানুষের মন হয়ে ওঠে উদার, সহমর্মিতাপূর্ণ ও আল্লাহর প্রেমের প্রেমিক। রমজান মাসে যারা প্রবৃত্তির প্ররোচনাকে দমন করে বিবেকের শক্তিকে জাগ্রত করতে পেরেছেন, ঈদের দিন মহান আল্লাহ তাদের ক্ষমা করে দেন। এজন্য  রোজাদারদের জন্য ঈদের দিনএটি একটি বিরাট প্রাপ্তির দিন।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদকে মুসলমানদের জাতীয় উৎসব হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রত্যেক জাতির নিজস্ব উৎসব রয়েছে। আর এটি হচ্ছে  (ঈদ-উল-ফিতর) আমাদের উৎসব’। মানব মনের সজীবতা ও কোমলতা অটুট থাকার মাধ্যমই হচ্ছে এই ঈদ। তাইতো রমজানের রোজা শেষে খুশির উৎসব ঈদ-উল-ফিতর।
ঈদ-উল-ফিতর মুসলিম উম্মাহর জন্য সাম্যের বাণী নিয়ে এসেছে। ঈদের নামাজে একত্রিত হয় সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। সেখানে থাকে কোনো ভেদ-বিদ্বেষ, উঁচু-নিচু। সবাই একই সমতল ভূমিতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একাকাতারে দাঁড়িয়ে মহান আল্লাহর সামনে প্রার্থনা করেন। কামনা করেন কল্যাণ ও শান্তির। যেখানে কোনো উঁচু-নিচু মান-মর্যাদার বালাই থাকে না। কেউ বাদ যায় না। কেউ পিছু হটে না। এ যেন সাম্যের এক অর্পূব দৃশ্যের অবতারণা হয় ঈদগাহে। তাইতো ঈদগাহ হয়ে উঠে সামাজিক মিলন মেলা।
বছরে অন্তত ঈদের দিনে মানুষ সব ক্ষুদ্রতা, সংকীর্ণতা, তুচ্ছতা, হিংসা ও বিদ্বেষ ভুলে পরস্পরকে ভালবাসে। সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে সামাজিক ঐক্য, সংহতি ও ভালবাসার নিবিড় বন্ধন সৃষ্টি হয়। আনন্দ উৎসবে প্রবাহিত হয় মানুষ হৃদয়, মন ও দেহে।
ঈদের দিন সকল মুসলমান নতুন জামা-কাজড় পড়ে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয় স্বজন ও পাড়া-পশড়িদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সালাম, কোলাকুলি ও শুভেচ্ছা বিনিময় করে। কেউ কেউ ঈদের নামাজ পড়েই মৃত মা-বাবাসহ আত্মীয় স্বজনের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে হারানো মানুষদের স্মরণ করে।
আবার আমাদের সমাজের দারিদ্র্যপীড়িত জনগোষ্ঠীও যেন ঈদের আনন্দ থেকে বাদ না যায়; তাদের ঈদের আনন্দ যেন ফিকে হয়ে না যায়; তারাও যেন এক চিলতে আনন্দ উৎসব করতে পারে, সে জন্য ইসলাম সাদকাতুল ফিতরের আবশ্যকীয়তা ঘোষণা করেছে।
সমাজের বিত্তবান লোক তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভাব গ্রস্ত মানুষকে ফিতরা আদায় করবে। গরিব-দুঃখী ও অসহায়দের মাঝে ঈদের আনন্দের সুযোগ করে দেবে, এটাই ইসলামের বিধান। তবেই সমাজে পরিপূর্ণ ঈদের আমেজ ফিরে আসবে; সমাজ হয়ে উঠবে আনন্দ মুখর। থাকবে না কোনো মলিন চেহারা । বইবে শান্তি সুবাতাস।
ঈদের দিনের সুখ, সমৃদ্ধি, শান্তির কামনাই হোক প্রতিটি মুমিন বান্দার কামনা। পৃথিবীতে বিরাজ করুক জান্নাতি পরিবেশ। মানবজীবন হয়ে ওঠুক আনন্দময়। পরিশেষে একে অপরের সঙ্গে ভালবাসা বিনিময়ে সবাইকে জানাই ঈদ মোবারক…।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS