শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:০৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে “নাগরিক নিরাপত্তা ও আগামী নির্বাচনের গুরুত্ব” শীর্ষক জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত আজ ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল টিউবস লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে আল-আমিন কেমিক্যাল প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ করেছে ফাইন ফুডস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট আলমডাঙ্গার খাসকররা ইউনিয়নের পার লক্ষ্মীপুর বাজারে জামায়াতের পথ সভা অনুষ্ঠিত হয় নীলমণিগঞ্জ পিটিআই মাঠে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাধারণ সভা: যুবকদের প্রতি আলোর পথে আসার আহ্বান ফাস ফাইন্যান্স দরপতনের শীর্ষে

মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের পরিবারের পাশে মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান ঈসা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের খুলনা খালিশপুরের পরীক্ষিত নেতা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন আওয়ামী অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পরিবার নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। সেখানে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাথে সক্রিয়ভাবে রাজপথে প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। ২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রায়েরবাগ চৌরাস্তায় বিএনপির মিছিলের উপর পুলিশ ও আওয়ামী লীগের অতর্কিত হামলায় জাহাঙ্গীর হোসেন রক্তাক্ত হন। এসময় তিনি তার পরিবারকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফোন করেন। তার পরিবার এসে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যেতে যেতে পথেই মৃত্যুবরণ করে। ঐ দিনেই বাদ জোহর নামাজের জানাজা শেষে ডেমরা মাতুয়াইল কবরস্থানে দাফন করা হয়। পরের দিনেই স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা জেলানিসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ তার পরিবারকে দেখতে আসেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা করেন। পরবর্তীতে ২০২২ ও ২০২৪ এ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদ কার্ড ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন। মৃত্যুর ১০ বছর পার হয়ে গেলেও পরিবারের সদস্যরা এখনও যানে না কারা জাহাঙ্গীর হোসেনকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। ৫ই আগস্টের পর এখন পর্যন্ত পরিবারের সাথে বিএনপি বা অন্য কেউ যোগাযোগ করেনি। জাহাঙ্গীর মৃত্যুর আগে তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে মারা যান। জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর কারণে ছেলে মেয়েরা কেউ লেখা-পড়া করতে পারেনি। এখন তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে।

২২ মার্চ ২০২৫, শনিবার বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা জাহাঙ্গীরের পরিবারের খোঁজখবর নিতে গেলে তার স্ত্রী ও সন্তানরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তার স্ত্রী রুবি বলেন, ১০ বছর হয়ে গেলো আজও স্বামী হত্যার বিচার পাইনি। ভেবেছিলাম এবার ঈদের আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান খোঁজখবর নেবেন, কিন্তু তিনি এখনও কোন লোক পাঠাননি। আমার স্বামী রাজনীতি করতে গিয়েই মৃত্যুবরণ করেছে। আমার সন্তানরা আজ মানবেতর জীবন-যাপন করছে, কাউকে তেমন লেখা-পড়া করাতে পারিনি। আমিও এখন খুব অসুস্থ। অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না। আশা করছি বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আমার পাশে দাড়াবে। 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS