রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন

ঢাকা মেডিকেলে যৌথবাহিনীর অভিযানে ৩৩ দালালকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা ও হয়রানির ঘটনায় অর্ধশতাধিক ‘দালালকে’ আটক করেছে যৌথবাহিনী। এর মধ্যে নারী-পুরুষ মিলে ৩৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থ জরিমানা করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের গোপন তথ্য ও নজরদারিতে এই যৌথ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা জেলার সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন জাহান।

এ সময় হাসপাতাল চত্বর, বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নারী সদস্যসহ এই দালাল চক্রকে আটক করে। যারা বিভিন্ন কৌশলে দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে আসছিল।

গোয়েন্দা সূত্রে জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখার পর আজ যৌথ অভিযান চালানো হয়। এতে অর্ধশতাধিক দালালকে আটক করা হয়েছে। সবার নাম পরিচয় ও সার্বিক তথ্য যাচাই-বাছাই করার পর নারী-পুরুষ মিলে মোট ৩৩ জনকে সর্বোচ্চ ৩ মাসসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে ১৯ জন নারী ও ১৪ জন পুরুষ।

এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বলেন, হাসপাতালে কিছু দালাল কাজটাকে পেশা হিসেবে নিয়েছে। দালালির কাজে হাতেনাতে ধরা পড়ার পরও পুনরায় তারা ছাড়া পেয়ে এই হাসপাতালে অবস্থান নিয়ে থাকে। হাসপাতালে আশপাশে কিছু সংখ্যক লোক বসবাস করে। এই কিছুসংখ্যক মানুষ হাসপাতালে এসে রোগীদের নিয়ে বাণিজ্য করে থাকে। এর আগেও তাদের অভিযানে ধরা হয়েছিল। সেসব অভিযানে তাদের শাস্তি দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারা বেরিয়ে পুনরায় হাসপাতালে অবস্থান নিয়ে তাদের দালালি কাজ অব্যাহত রাখে, এতে বোঝা গেল তারা এই দালালি কাজটা পেশা হিসেবে নিয়েছে। এদের নির্মূলে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

পরিচালক আরো বলেন, আজকে এই দালাল নির্মূলে এনএসআই গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে এই অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সমর্থন আছে। অভিযানে আটক কয়েকজনকে যাচাই-বাছাই করে ম্যাজিস্ট্রেটদের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢামেক পরিচালক বলেন, আমাদের এখানে দৈনিক মজুরিতে নিয়োগপ্রাপ্ত কয়েকজন ও স্থায়ী দু-একজন এসব কাজে জড়িত হয়ে পড়ে। আমরা আজকে দৈনিক মজুরিতে যারা দালালি কাজে জড়িত প্রমাণ পাব, তাদের চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হবে। এ ছাড়া যারা পারমানেন্ট স্টাফ আছে দু-একজন। তাদের বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে গত বছরের নভেম্বরেও এমন অভিযানে ২১ জনকে আটক করেছিল যৌথবাহিনী। তাদেরও বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS