বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকালে মো. সোহাগ মিয়া নামের এক কিশোরকে হত্যার অভিযোগে রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের করা মামলায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন সকালে আতিকুল ইসলামকে আদালতে হাজির করা হলে তাকে অনেক অস্থির দেখা যায়। এর মাঝেই তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে পরিবারের খবর নেন।
সোমবার সকাল ১০টার পরে আমির হোসেন আমু, আতিকুল ইসলাম, সাদেক খান, পুলিশ কর্মকর্তা শাহেন শাহসহ ১১ আসামিকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট ও হাতকড়া পরিয়ে আদালতে তোলা হয়। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের কাছে যান। তখন সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম তার আইনজীবীকে বলেন, “সবাই কেমন আছে?” আইনজীবী হাত দিয়ে ইশারা করে বলেন, “সবাই ভালো আছে।” এরপর আইনজীবীকে আরো কিছু বলার চেষ্টা করেন আতিকুল ইসলাম। কিন্তু, মানুষের ভিড় ও শব্দ বেশি থাকায় তা সম্ভব হয়নি। তখন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মাথা উঁচু করে কাউকে খুঁজতে থাকেন আতিকুল ইসলাম। এ সময় অনেক অস্থির দেখা যায় তাকে।
পরে বাড্ডা থানার হত্যা মামলায় আতিকুল ইসলামকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়ে শুনানি হয়। ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর ভাটারা থানাধীন মাদানী এভিনিউয়ে ফরাজী হাসপাতালের সামনে আন্দোলনে অংশ নেন কিশোর মো. সোহাগ মিয়া (১৬)। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে একটি গুলি তার বাম কান দিয়ে ঢুকে মাথায় পেছনে দিয়ে বেরিয়ে যায়। এতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ২০ আগস্ট ৯১ জনকে আসামি করে ভাটারা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply