নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ৩০ লাখ টাকার চাঁদাবাজির বিরোধিতা করায় চাষি মামুনের, মিথ্যা মামলায় কাওসার আহমেদ
প্রতারক চাষি মামুন ভুয়া রাজনৈতিক সংগঠন যুক্ত ফোরাম এর প্রধান সমন্নয়ক পরিচয় দানকারি
প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বন্ধুগণ, আসসালামু আলাইকুম। বাংলাদেশের জনগণকে প্রতারণা এবং অপরাধ থেকে
সুরক্ষিত রাখতে আপনাদের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি, এক কুখ্যাত প্রতারক, চাষী মামুন, নিজের
রাজনৈতিক নেতা হিসেবে পরিচয় দিতে “যুক্তফোরাম” নামে একটি ভুয়া রাজনৈতিক দল গঠনের দাবি করেছেন। তার এই কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা এবং ক্ষমতার মোহে জনগণের শান্তি ও শৃঙ্খলা নষ্ট
করা।
জাতীয় যুব পুরস্কারপ্রাপ্ত উদ্যোক্তা মো. কাউসার আহমেদ আজ একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চাষী মামুন
নামক প্রতারকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। তিনি জানান, চাষী মামুন বিভিন্ন রাজনৈতিক
পরিচয়ের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করে আসছেন। তার বর্তমান প্রতারণার ধরন এবং
রাজনৈতিক সম্পর্কের কারণে তার কর্মকাণ্ড আরো বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
কাউসার আহমেদ জানান, ২০২১ সালে চাষী মামুনের সাথে পরিচয়ের পর, তাকে “পোল্ট্রি শিল্প ফোরাম” নামে
একটি ভুয়া সংগঠনের কার্যক্রমে যুক্ত করা হয়। চাষী মামুন তাকে ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেন এবং
কিছুদিন পর ১,২০,০০০ টাকা ধার নেন। পরে, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে কাউসারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৫
লক্ষ টাকা স্থানান্তরিত হয়, যা চাষী মামুন তার চেক ব্যবহার করে তুলে নেন। এই ঘটনায় কাউসার সন্দেহ করতে
শুরু করেন এবং তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে চাষি মামুনের সাথে থাকতে
অস্বীকার করেন এবং তার পাওনা ১ লক্ষ্ ২০ হাজার টাকা ফেরত চান। চাষি মামুন গত ৬ ই নভেম্বর সন্ধ্যায়
পাওনা টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে ডেকে নেয় বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করিয়ে মগবাজার হাতিরঝিল কর্নারে
ডেকে এনে চাষি মামুন মিথ্যা চাদা বাজির মামলায় পুলিশে ধরিয়ে দেন ।
মিথ্যা মামলা এবং হয়রানি ৫ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে, চাষী মামুন হাতিরঝিল থানায় কাউসারের বিরুদ্ধে মিথ্যা
চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন এবং কাউসারকে জেলখানায় পাঠানো হয়। তবে, আদালতে ব্যাংক ডকুমেন্ট এবং
আওয়ামী লীগের সাথে তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ উপস্থাপন করার পর, কাউসার জামিন পেয়ে মুক্তি পান।
চাষী মামুনের রাজনৈতিক রূপান্তর কাউসার আহমেদ জানিয়েছেন, চাষী মামুন আওয়ামী লীগের দোসর ছিলেন
এবং তাদের শাসনামলে তিনি বিভিন্ন প্রতারণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। তবে সরকার পরিবর্তনের পর,
চাষী মামুন তার রং পরিবর্তন করে “ভূয়া সংগঠন যুক্ত ফোরাম নামে একটি নতুন ভুয়া সংগঠনের প্রধান
সমন্বয়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তার এই নতুন পরিচয় এবং রাজনৈতিক সম্পর্কের কারণে, তিনি আরও
বেপরোয়া হয়ে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া, তার ৮ থেকে ১০ টি সংগঠন রয়েছে তার ভিতরে অন্যতম এস এম
ই ফোরাম, পোল্ট্রি শিল্প ফোরা্ম, এস এম ই টিভি রাজনৈতিক সংগঠন যুক্ত ফোরাম,সহ ৮-১০ টি সংগঠন
রয়েছে এক এক জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন নাম পরিচয় দেন বিভিন্নভাবে কাছে প্রতারণা করে বেড়ান এবং অর্থ
আত্মসাৎ করেন পাওনা টাকা চাইতে গেলে তাকে মামলা হামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়ে দেন
চাষী মামুন আন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হাসান আরিফ সাহেব এবং তার পরিবারের সদস্যদের সাথে
ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেছেন।
তাদের সাথে বিভিন্ন ছবি থাকার কারণে, তিনি তাদের প্রভাব ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং তদবির বাণিজ্যের নামে টাকা পয়সা আদায় করছেন। ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত চাষী মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে, যেখানে একজন নারী অভিযোগ করেছেন যে, মামুন তাকে ধর্ষণ করেছে এবং এই ধর্ষণের কারণে তিনি ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। তার বিরুদ্ধে একাধিক নারী ধর্ষণের শিকার হওয়ার প্রমাণ রয়েছে।
প্রতারণা এবং প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করা কাউসার আহমেদ জানান, চাষী মামুনের প্রতারণার ধরন এমন যে, তিনি প্রশাসনের লোকদের বিভ্রান্ত করে বিভিন্ন লোককে গ্রেফতার করানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। তার মিথ্যা অভিযোগ এবং রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে, প্রশাসনও বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছে, যার ফলে সাধারণ মানুষ অসহায় হয়ে পড়ছে।
সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতি আহ্বান কাউসার আহমেদ বলেন, “চাষী মামুন একজন পেশাদার প্রতারক, যিনি রাজনৈতিক পরিচয় এবং সম্পর্কের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের অর্থ লুট করছেন। তার কর্মকাণ্ডের ফলে সাধারণ মানুষ প্রতারণার শিকার হচ্ছে এবং সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।”
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, “চাষী মামুনের প্রতারণার ব্যাপারে দ্রুত তদন্ত করা হোক এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে শাস্তির আওতায় আনা হোক। তদবির বাণিজ্য এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়া প্রতারকদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
সংযুক্তি
১. চাষী মামুনের আওয়ামী লীগের সাথে সম্পর্কের প্রমাণ।
২. তার ভুয়া সংগঠনের কার্যক্রম প্রমাণ।
৩. ব্যাংক ডকুমেন্ট এবং আর্থিক লেনদেনের রেকর্ড।
৪.ধর্ষণ মামলার প্রমাণ এবং ভুক্তভোগী নারীর বিবৃতি।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply