নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশাল শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান বরাবরে দাখিলকৃত পত্রের ধারাবাহিকতায় গত ১১/০১/২০২৩ইং তারিখ বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবরে পুনরায় লেখা পত্রটি এতদসঙ্গে সংযুক্ত কাগজপত্রাদি সহ আপনার সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পেশ করছি। বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের বরাবরে আবেদন দিয়েও কোন সু-বিচার পাইনি এমনকি পর পর দুইটি আবেদনের পরেও বরিশাল শিক্ষাবোর্ড থেকে কোন জবাব দেয়নি।
প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা আমি একজন প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা কুতুবউদ্দিন আহমেদ। আমার মুক্তিযোদ্ধা পরিচিতি নং- ০১০৬০০০৮২১২ (মুক্তিযোদ্ধা স্মার্ট কার্ডের কপি সংযুক্ত)। বিষয়ে উল্লেখিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি আমি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের আন্তরিক সহযোগিতা নিয়ে
১৯৯৯ইং সালে প্রতিষ্ঠা করি।
নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য সরকারী চাহিদা মোতাবেক অর্পননামা দলিল নং-৫১, তারিখঃ ০৬/০১/২০০৩ এর মাধ্যমে ৫০ শতাংশ জমি ১নং দাতা আমি কুতুব উদ্দিন আহমেদ ২৫ শতাংশ এবং অর্পননামা দলিলে উল্লেখিত ২,৩ ও ৪ নং দাতা ২৫ শতাংশ জমি (দ্বিগুন রেজিস্ট্রি খরচ এড়াতে আদি ভুতুব উদ্দিন আহমেদ ২.৩ ও ৪নং দাতাকে সরাসরি অর্পননামা দলিল দেয়ার বিনিময়ে ৫০,০০০/- টাকা
প্রদান করি নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে (কপি সংযুক্ত)। উক্ত টাকা পেয়ে তারা অর্পননামা দলিলে স্বাক্ষর। করে। উন্ড মোট ৫০ শতাংশ জমি সরকারি চাহিদা মোতাবাকে বিদ্যালয়ের অর্পননামা দলিল এর মাধ্যমে প্রদান করি (কপি সংযুক্ত)
আমি কুতুব উদ্দিন আহমেদ জয়ন্তী আইডিয়াল নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় আমার নিজ খরচে দেয়া দলিলের খাজনা পরিশোধ করি (কপি সংযুক্ত)।
আমি পাঠদানের জন্য ২০০০ সালে ২টি টিনসেড ঘর নিজ খরচে নির্মান করি। যাহার লৈখ্য ৫০ ফিট
গ্রন্থ ১৫ফিট অপরটি দৈঘ্য ৪০ ফিট প্রন্থ ১৫ ফিট (রেজুলেশন কপি সংযুক্ত)।
৭। যাত্র-ছাত্রী ভর্তি, শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে শুভ সুচনা করি (শিক্ষক নিয়োগ ও যোগদানের কপি সংযুক্ত)।
এরপর আমাকে রেজুলেশনের মাধ্যমে সলিলের শর্ত অনুযায়ী প্রতিষ্ঠাতা ও দাতা করা হয়। এরপর আমি ২০০১ সালে বিদ্যালয়ের নামে পাঠদানের অনুমতি করাই স্মারক নং-৯৫০/৩, তারিখঃ ২৫/০৭/২০০১ (কপি সংযুক্ত) একাডেমিক স্বীকৃতি তাং-২৯/১১/২০০৫ইং (কপি সংযুক্ত) ও EIIN No: 100990 সহ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করি।
১। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা, দাতা ও সভাপতি হিসেবে এর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আমি দায়িত্ব পালন করে আসছি। কিন্তু বিদ্যালয়টি চলমান অবস্থায় হঠাৎ করে ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড়ে পাঠদানের জন্য নির্মিত ঘর ২টি চূর্ণবিচূর্ন হয়ে যায়। এরপর অস্থায়ী ব্যবস্থায় বিদ্যালয়টির কার্যক্রম চালু রাখার চেষ্টা করি যা উপজেলা শিক্ষা অফিসে প্রমানাদি আছে। পরবর্তীতে পুনরায় ২০১৭ সালে বিদ্যালয়টি পূর্ণ উদ্যমে চালুর লক্ষ্যে আমার নিজ খরচায় একটি ঘর (দৈর্ঘ্য ৫৫ ফিট গ্রন্থ ১৫ ফিট) এবং ২০২০ সালে ৯ম ও ১০ম শ্রেণী চালুর জন্য আরেকটি ঘর (দৈর্ঘ্য ৪৫ ফিট প্রন্থ ১৫ ফিট) নির্মাণ করে বিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য মোট ২টি ঘর পুনঃ নির্মান করে পাঠদান চলতে থাকে।
১০। ২০/০৯/২০১৭ইং তারিখ বর্তমান সভাপতি দাবীদার মোঃ আবু হানিফের পিতা মরহুম আব্দুল জলিল বেপারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আমাকে পুনরায় সভাপতি করে এডহক কমিটি পূনঃগঠন করে উপ-পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, বরিশাল অঞ্চল, বরিশালকে নতুন নিয়োগকৃত প্রধান শিক্ষক মিসেস আরজু আক্তারের স্বাক্ষর যুক্ত পত্র প্রদান করি (কপি সংযুক্ত)।
১১। ৯ম ও ১০ম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের ভর্তির পূর্বে ক্লাল খুলতে আরো জমি প্রয়োজন হলে আমি কুতুব উদ্দিন আহমেদ আমার মেঝ ভাই নিজাম উদ্দিন আহমেদ ৬৭-৬-১২ শতাংশ জমি বিদ্যালয়ের নামে রেজিষ্টি করে দেই, যার অবস্থান বিদ্যালয় কম্পাউন্টের মধ্যে যাহার দাগ নং- ২৪০ ও ২৪১, দলিল নং- ৮৫৫। কপি সংযুক্ত।
১২। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে, বিদ্যালয়টির জন্য দুইটি ঘর নির্মান শিক্ষক নিয়োগসহ পাঠদান পুনরায় চলমান অবস্থায়আগস্ট, ২০১৯ইং সালে ঢাকায় অবস্থানকারী এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারা আমাকে মেয় আবু হানিফ, পিতা-আঃ জলিল বেপারী, গ্রাম-পূর্ব নাজিরপুর, মুলাদী, বরিশাল অনুরোধ করে যে, যেহেতু বিদ্যালয়টি এখন ও এমপিও ভুক্ত হয়নি, সে কারনে আমরা যারা ঢাকায় আছি বিদ্যালয়টির বিষয় নিয়ে একটি মত বিনিময় সভা করি। সে অনুযায়ী ২০১৯ সালে ১১ই সেপ্টেম্বর একটি সভা ফকিরাপুল ঢাকার মুক্তি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply