চট্টগ্রামের কর্ণফুলিতে এস আলম সুগার মিলের আগুন ১৮ ঘণ্টার চেষ্টাতেও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। এর ১৪টি ইউনিটের সঙ্গে কাজ করছে নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, কোস্টগার্ড ও সেনাবাহিনী। তবে ঘটনাটি তদন্তে এরই মধ্যে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকাল ১০টা পর্যন্ত ওই সুগার মিলে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখা গেছে।
সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে কর্ণফুলি মইজ্জারটেক এলাকায় এস আলম সুগার মিলে এ আগুন লাগে।
ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট শুরু থেকে কাজ করছে। পরে তাদের সঙ্গে কোস্টগার্ড ও বিমানবাহিনীর একাধিক ইউনিট যোগ দেয়। ১৮ ঘণ্টার চেষ্টাতেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন; এখনো জ্বলছে দাউ দাউ করে।
এস আলম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত কুমার ভৌমিক বলেন, ‘মিল চালু থাকা অবস্থায় আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নির্বাপণে ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা করার চেষ্টা করছি।’
তিনি বলেন, ‘গোডাউনে থাকা ব্রাজিল থেকে আমদানি করা এক লাখ টন চিনির কাঁচামাল ছিল। এগুলো রমজানকে সামনে রেখে আমদানি করা হয়েছিল। এখান রিফাইন্ড করে চিনিগুলো মার্কেটে যাওয়ার কথা ছিল।’
এস আলম সুপার রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান কর্ণফুলি নদীর পাড়ের ইছানগর এলাকায়। বিকেল ৪টার দিকে কারখানার একটি গুদামে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন লাগার সময় কারখানাটি চালু ছিল। সেখানে প্রায় সাড়ে ৫০০ শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করেন। আগুন লাগার পর কারখানাটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
এদিকে আগুন লাগার ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সার্বিক ও ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় কমিশনার আনোয়ার পাশা।
এ বিষয়ে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) শাকিলা ফারজানা বলেন, ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আনোয়ার পাশা ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর থেকেই ফায়ার সার্ভিস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার। পর্যায়ক্রমে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ির সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে; কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, রমজানকে সামনে রেখে এ গোডাউনে চার লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত চিনি ব্রাজিল থেকে আমদানি করা হয়েছিল। এর মধ্যে, মজুত করা এক লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত চিনি পুড়ে গেছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply