 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ প্রায় দেড়শ বছর পুরনো সতিন মোচড় পিঠা। বিলুপ্তপ্রায় এই পিঠার নাম ও স্বাদের লোভে আটকা পড়ছেন দিনাজপুরে বিসিক আয়োজিত উদ্যোক্তা মেলায় আগত দর্শনার্থী ও ক্রেতারা। এমন আরো ব্যতিক্রমী আর বাহারী নামের পিঠা, খাবার আর উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য পশরা সাজানো স্টলগুলোতে পরিচিত হতে ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।
সবার জন্য উন্মুক্ত এ মেলা চলছে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকছে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উদ্যোক্তাদের পথচলা সুগম করতে এমন উদ্যোগ বললেন আয়োজকরা। ছোট ছোট স্টলে দাঁড়িয়ে থাকা ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা শুধু পণ্য বিক্রি করছেন না, স্বপ্ন দেখছেন ভবিষ্যতে স্বাবলম্বী ও সফল হওয়ার।
আর উদ্যোক্তাদের প্রতিভা তুলে ধরে, তাদের উৎসাহ প্রদানের পাশাপাশি উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করার লক্ষ্যে চলছে এই ১০ দিনব্যাপী উদ্যোক্তা মেলা। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) দিনাজপুর জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় দিনাজপুর গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে চলছে এ মেলা। স্টলগুলোতে শোভা পাচ্ছে বাহারি নাম ও আঙ্গিকের মুখরোচক পিঠা, খাবার ও কারুকার্য খচিত পণ্য সামগ্রীর মধ্যে হস্তশিল্পের পাটজাত পণ্য, নকশি, শতরঞ্জি, কারুপণ্য, শো-পিচ, প্রসাধনী ইত্যাদি।
এছাড়া আঞ্চলিক খাবার ও পোশাকের সমাহার নজর কেড়েছে দর্শনার্থীদের। মেলায় ৫০টি স্টলের প্রতিটিতে স্থানীয় অনলাইন ও অফলাইন উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক উদ্যোগের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করার সুযোগ পাচ্ছে। তবে এ আয়োজনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এক উদ্যোক্তার হাতের তৈরি সতিন মোচড় পিঠা। প্রায় ১৫০ বছরের পুরনো বিলুপ্তপ্রায় এই পিঠার ব্যতিক্রমী নাম ও স্বাদে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সেখানে উপচেপড়া ভিড়ও লক্ষণীয়। উদ্যোক্তাদের এসব স্টলে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হওয়ায় নিজেদের উৎপাদিত পণ্য তুলে ধরে পরিচিত করেছে।
অপরদিকে হাতের নাগালে সবকিছু পাওয়ায় খুশি ক্রেতারাও। তবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের এ মেলবন্ধনকে আরো জমিয়ে রাখতে প্রতিদিনই সন্ধ্যায় চলছে বাড়তি সাংস্কৃতিক আয়োজন।
মেলায় স্থান পাওয়া উদ্যোক্তাদের তৈরি বিভিন্ন খাবার ও পণ্যগুলোকে তুলে ধরতে এ আয়োজন বলে জানান বিসিক জেলা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক জাহিদুল ইসলাম। তিনি আরো বলেন, কারুকার্য খচিত পণ্য সামগ্রী ও বাহারি রকমের খাবারের আয়োজন নিয়ে হাজির হওয়া স্টলগুলোতে শুধু কেনাবেচা নয়, প্রতিভা বিকাশ ও শিক্ষণীয় সমাহার রয়েছে মেলাজুড়ে।
 
                                 
									Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply