দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) থেকে আগামী ৯ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) পর্যন্ত চট্টগ্রামে সভা-সমাবেশ ও শোভাযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সই করা গণবিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানানো হয়।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভোটগ্রহণ শুরুর পূর্ববর্তী ৪৮ ঘণ্টা এবং ভোটগ্রহণ সমাপ্তির পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা অর্থাৎ ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ৯ জানুয়ারি বিকাল ৪টা পর্যন্ত যে কোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল ও শোভাযাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
নির্বাচনি এলাকাসমূহে কোনো ব্যক্তি জনসভা বা অনুষ্ঠান আহ্বান কিংবা তাতে যোগদান করতে এবং কোনো ব্যক্তি মিছিল বা শোভাযাত্রা সংগঠিত করতে বা তাতে যোগদান করতে পারবেন না। উক্ত বিধান লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় এলাকায় শনিবার (৬ জানুয়ারি) মধ্যরাত ১২টা থেকে ৭ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস, ট্রাক ইত্যাদি চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। একইসঙ্গে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা থেকে সোমবার (৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসন ও অনুমতিপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক, জরুরি সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন এবং ওষুধ, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা ও এ ধরনের কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি, সংবাদপত্র বহনকারী সবধরনের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে। এছাড়া আত্মীয়-স্বজনের জন্য বিমানবন্দরে যাওয়া, বিমানবন্দর থেকে যাত্রী বা আত্মীয়-স্বজনসহ নিজ বাসস্থানে অথবা আত্মীয়-স্বজনের বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত যানবাহন (টিকিট বা অনুরূপ প্রমাণ প্রদর্শনপূর্বক) এবং দূরপাল্লার যাত্রী বহনকারী অথবা দূরপাল্লার যাত্রী হিসেবে স্থানীয় পর্যায়ে যাতায়াতের জন্য যে কোনো যানবাহন চলাচলেও ছাড় দেওয়া হবে।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীর জন্য একটি, প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীর নির্বাচনি এজেন্টের (যথাযথ নিয়োগপত্র/পরিচয়পত্র থাকা সাপেক্ষে) জন্য একটি গাড়ি (জিপ, কার, মাইক্রোবাস ইত্যাদি ছোট আকৃতির যানবাহন), রিটার্নিং অফিসারের অনুমোদন ও গাড়িতে স্টিকার প্রদর্শন সাপেক্ষে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে। সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক অথবা জরুরি কোনো কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমোদন সাপেক্ষে চলাচলের অনুমতি পাবে। নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে নির্বাচনি কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী অথবা অন্য কোনো ব্যক্তির জন্য মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি পাবে। প্রতিবন্ধী ভোটারদের সহযোগিতায় নিয়োজিত যানবাহন; মহানগর থেকে বের হওয়া বা প্রবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, মহাসড়ক ও প্রধান প্রধান রাস্তার সংযোগ বা এমন সব রাস্তায় নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে।
এতে আরও বলা হয়, ৬ জানুয়ারি মধ্যরাত ১২টা থেকে ৭ জানুয়ারি মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলার নির্বাচনি এলাকায় সব প্রকার নৌ-যান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
শুধুমাত্র রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/ তাদের নির্বাচনি এজেন্ট, দেশি/বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি/বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনি কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা/কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরি কাজ যেমন অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য উল্লিখিত নৌ-যান, ভোটার ও জনসাধারণের চলাচলের ক্ষেত্রে ও দূর পাল্লার নৌ-যান চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply