নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাঙলা সাহিত্যের অগ্রগতি, উন্নয়ন ও সাহিত্যসেবীদের কল্যাণের লক্ষ্যে সাহিত্যপ্রেমীরা দীর্ঘদিন যাবত “জাতীয় সাহিত্য অধিদপ্তর” প্রতিষ্ঠার দাবী জানিয়ে আসছেন।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠন এবং সিনিয়র লেখকদের সমন্বয়ে জাতীয় সাহিত্য অধিদপ্তর বাস্তবায়ন পরিষদ নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ও কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সাহিত্যসেবীদের চাহিদামতে সৃংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এর সাথে সাহিত্যকে যুক্ত করে সাহিত্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় হিসেবে নামকরণের মাধ্যমে তার অধীনে ‘জাতীয় সাহিত্য অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠাসহ ১৫ দফা দাবীতে, সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক – ছাবের আহাম্মদ (কাজী ছাব্বীর) এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্মারকলিপি দাখিল করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসাইন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শুক্কুর চৌধুরী, প্রফেসর ডক্টর সন্দীপক মল্লিক, প্রভাষক ইভা আলমাস, অধ্যাপক জুবাইদা গুলশান আরা হেনা, আশিষ খীসা, শেফালী হোসাইন, রিতু নুর, শেখ ইকবাল হাসান (স্বপন), নাসিমা ইসলাম, মুখপাত্র ফেরদৌসী আক্তার (নীলা মল্লিক)। সমন্বয়কগণ রওশন আরা (রুশো), জেসমিন দিপা, মো: আব্দুল গণি ভুইয়া, নুরুল শিপার খান, রশিদ আহমদ, অসীম ভট্টাচার্য, শাম্মী খান, শিহাব রিফাত আলম, কাছেন রাখাইন, সাইফ সাদী, শরীফুল ইসলাম, বেলাল আহমদ, এ কে এম কবির উদ্দিন, শামীমা রোজী, ইলোরা সোমা, শামীউম বাছিরসহ প্রমুখ কবি ও সাহিত্যিকগণ।
এ প্রসঙ্গে সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক কাজী ছাব্বীর জানান, আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত “মাতৃভাষা বাঙলা ” আজ বিশ্বপরিমন্ডলে “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ” হিসাবে স্বীকৃত ও সম্প্রসারিত। আমরা বাঙলা ভাষার অধিকার অর্জন করেছি বটে কিন্তু আজও বাঙলা ভাষা-কে সমৃদ্ধ করতে পারিনি। সাহিত্য হোক সমাজ বদলের হাতিয়ার। এই প্রত্যয়ে জাতীয় সাহিত্য অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা আজ সময়ের দাবী।
জাতীয় সাহিত্য অধিদপ্তর বাস্তবায়ন পরিষদ- এর মুখপাত্র নিলা মল্লিক বলেন, সাহিত্য সমাজের দর্পণ, যে দেশের সাহিত্য যত বিকশিত, সে জাতি তত উন্নত। রক্তের বিনিময়ে অর্জিত মাতৃভাষা বাঙলা এই দেশে এখনো যেন অনেকটাই উপেক্ষিত। মাতৃভাষা-কে সমুজ্জ্বল ও সমৃদ্ধি করণের লক্ষে জাতীয় সাহিত্য অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা লেখক সমাজের সময়ের দাবী।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply