নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গত ১৩ জুন ২০২৩ মঙ্গলবার, স্কাই সিটি হোটেলে এন ডি পি সভাপতি কে এম আবু তাহের যে নৈশ ভোজের আয়োজন করেছিলেন এবং দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তার সঙ্গে ১২ দলীয় জোট বা অন্য কোনও দল বা সংগঠন বা সংস্থার কোনও সম্পর্ক নাই। ইহা এন ডি পির নিজস্ব আয়োজনে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিকে আরো সুদৃঢ় করতে ছোট ছোট রাজনৈতিক দল সমূহকে সংগঠিত করার উদ্দেশ্যে আয়োজিত। গত প্রায় ১৫ বৎসর যাবৎ দেশে আওয়ামী দুঃশাসন, সরকার বিরোধী রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের নির্যাতন, গুম, খুন, গায়েবী মামলা এবং জনগণের আন্দোলনকে ব্যর্থ করতে দমন পীড়ন আর সুপরিকল্পিত ভাবে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করতে দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থ পাচার দেশের প্রতিটি মানুষের নিকট ক্রিস্টাল ক্লিয়ার।
২০০৮ সালে ষড়যন্ত্রের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে ২০১৪ সালে ভোটার বিহীন নির্বাচন ও ২০১৮ সনে দেশের বৃহত্তম ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলসমূহের সঙ্গে প্রতারণা করে নির্বাচনের দিনের আগের রাতে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও গোপালী পুলিশের নেতৃত্বে নৌকা ও তাদের দোসরদের মার্কায় সিল মেরে ভোট বাক্স ভর্তি করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ এখনও ক্ষমতায়। আওয়ামীলীগ শুধু দেশের মানুষ বা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রতারণা করছে তা নয়, বিদেশিদের সঙ্গেও মিথ্যা কথা বলছে ও প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে। আমরা মনে করি নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রও তত গভীর হচ্ছে। ২০২৩ সনের নির্বাচনে যদি জনগন ভোট দিতে না পারে তবে দেশ তার সার্বভৌমত্ব হারাবে এবং দীর্ঘ মেয়াদী স্বৈরশাসনের কবলে পড়বে তাই বর্তমান প্রতিটি মুহূর্তই দেশ ও রাজনৈতিক দলসমূহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকার জানে যে, তাদের পায়ের নিচে মাটি নাই তাই জনগণের ঐক্যে ফাটল ধরাতে সরকার যেকোনো প্রকারে চেষ্টা করে যাবে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে একান্ত বাধ্যগত করতে পারার পর এখন জনগনই আওয়ামী লীগ সরকারের একমাত্র শত্রু।বাংলাদেশের জনগণের সৌভাগ্য যে, মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ অসীম রহমতে ১৯৭৫ সালের ক্রান্তিকালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, যিনি পৃথিবীর সৎ ও দেশপ্রেমিক রাষ্ট্র প্রধানদের অন্যতম একজন দেশের হাল ধরেছিলেন এবং ১৯৭৮ সালে রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। আর সেই রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র নেতৃত্বে আছেন সততা-দেশ প্রেমের মানদন্ডে উত্তীর্ণ ও আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে জনপ্রিয় তরুণ-যুবকদের প্রাণ প্রিয় নেতা তারেক রহমান।
বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার যেকোনো উপায়ে আবার ক্ষমতা দখলে রাখতে চায় তাই এন ডি পি ছোট ও জোট হীন দল সমূহকে একত্রিত করে সকলের স্বাধীন মতামতের ভিত্তিতে একই স্রোতে প্রবাহিত করতে চেয়েছেন।
আমরা মনে করি আগামী দিনে বাংলাদেশের বন্ধু প্রতিম রাষ্ট্র সমূহ আন্তর্জাতিকভাবে এবং সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহ ঐক্যবদ্ধ ভাবে দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সরকারকে চাপ সৃষ্টি করবে তখন সরকার অথৈ সাগরে নিমজ্জিত মানুষের ন্যায় খর কুটা ধরে নির্বাচনে বৈতরণী পার হতে চাইবে। তখন এই সকল ছোট ছোট রাজনৈতিক দল সমুহ দেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করবে। এন ডি পি সভাপতি কে এম আবু তাহের তাহার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও দূরদর্শী চিন্তায় এই আয়োজন করেছিলেন। ১৩ জুনের সভাটি খুবই অনানুষ্ঠানিক ছিল ইহার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল সরকার বিরোধী আন্দোলনকে বেগবান করার উদ্দেশ্যে বিরোধী মনোভাবাপন্ন দলসমূহকে একত্রিত করে একদফার পতাকা তলে নিয়ে আসা। ১৩ জুনের সভার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল সকলের মতামতের ভিত্তিতে বর্তমান আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী দল বি এন পি নেতৃবৃন্দের পরামর্শ বা নির্দেশনা অনুযায়ী রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়া।
এন ডি পি সভাপতি কে আবু তাহেরের ব্যক্তিগত বা এন ডি পির ভিন্ন বা কোনও অসৎ উদ্দেশ্য থাকলে ১২ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দকে বা কট্টর আওয়ামী লীগ বিরোধী কোনও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের আমন্ত্রণ জানানো হত না। আবার গোপন কোনও উদ্দেশ্য থাকলে স্কাই সিটি হোটেলেও আয়োজন করা হতো না।
এন ডি পি মনে করে একটি সরল উদ্দেশ্যেকে সরকারি কোনও মহল হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য ও বি এন পির নেতৃত্বে দেশের রাজনৈতিক দল সমূহের ইস্পাত কঠিন ঐক্যকে বাধাগ্রস্ত বা প্রশ্নবিদ্ধ করতে হীন চেষ্টা।
এন ডি পি ঘোষণা করছে যে, যত বাধা বিপত্তি ও ষড়যন্ত্র আসুক না কেন এন ডি পি, সভাপতি কে এম আবু তাহের নেতৃত্বে দৃঢ়তার সঙ্গে বর্তমান সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি নিরপেক্ষ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠানের জন্য তারেক জিয়া তথা বি এন পির কর্মসূচি অনুযায়ী আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply