পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে করহার ৫ শতাংশ রাখতে চায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে করহার ১০ শতাংশ রাখার প্রস্তাব করেছে।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে প্রাক-বাজেট আলোচনায় দুই স্টক এক্সচেঞ্জ এই আহ্বান জানায়।
বর্তমানে পুঁজিবাজারে ২৫ শতাংশ কর এবং প্রদেয় করের উপর ৫ শতাংশ জরিমানা প্রদান সাপেক্ষে অকরবিহীন অর্থ বিনিয়োগের অনুমতি দেয়।
প্রাক বাজেট আলোচনায় ডিএসইর চিফ অপারেটিং অফিসার এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, প্রস্তাবিত করের হার অপ্রকাশিত অর্থকে দেশের প্রকৃত অর্থনীতিতে চালিত করবে এবং পুঁজিবাজারে উন্নয়নে সহয়তা করবে।
এনবিআরের সদস্য মাসুদ সাদিক বলেন, সমালোচনার মুখে এ ধরনের সুবিধার ‘সুবিধাভোগীরা’ খুব কমই এনবিআরের পাঁশে দাড়ায়।
তিনি বলেন, কোন প্রশ্ন ছাড়াই অপ্রকাশিত অর্থ বিনিয়োগের অনুমতি দিয়ে যখন আমাদের সমালোচনা করা হয়, তখন যারা লাভবান হয় তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এবং নন-তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে কর্পোরেট ট্যাক্স হারের ব্যবধান বাড়ানোর জন্য, ডিএসই তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য ১৭.৫ শতাংশ, এবং টেকহোল্ডারদের জন্য ০.০১৫ শতাংশ করের প্রস্তাব করেছে।
ডিএসই করমুক্ত লভ্যাংশ আয়ের সর্বোচ্চ সীমা ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করারও দাবি করেছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply