শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:২৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৬১ আসামিকে পলাতক দেখিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সিআইডি কমিউনিটি ব্যাংক ও উইগ্রো টেকনোলজিসের মধ্যে কৃষি সেবায় ব্যবসায়িক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর ওমরাহ ভিসা নিয়ে নতুন নিয়ম জারি সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের মেট্রো লাইন স্থানান্তর শুরু, বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের অনুরোধ যৌথ বাহিনীর পরিচালিত অভিযানে সারাদেশে আটক ১৪৯ জন খাগড়াছড়ির গুইমারায় নিরীহ ৩ নাগরিককে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ লভ্যাংশ ঘোষণা একমি পেস্টিসাইডসের লভ্যাংশ ঘোষণা এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ ন্যাশনাল ব্যাংকের

বাংলাদেশ সর্বজনীন দলের নির্বাচনী রূপরেখা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শনিবার, ৪ মার্চ, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ সর্বজনীন দল হলো উদার গণতন্ত্রপন্থী একটি রাজনৈতিক দল (নিবন্ধনের জন্য আবেদনকৃত)। এই দল বিশ্বাস করে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে রাষ্ট্রক্ষমতা পরিবর্তনের একমাত্র উপায় হলো গ্রহনযোগ্য একটি নির্বাচন। তাই একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশ সর্বজনীন দল একটি নির্বাচনী রূপরেখা প্রকাশ করছে।

১। উন্নত বিশ্বের মত বাংলাদেশেও সাংবিধানিক ভাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে। কোন অরাজনৈতিক ব্যক্তির হাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা তুলে দেওয়া যাবে না। তবে সংবিধানে যদি জনগণের ইচ্ছা ও আকাঙ্খার প্রতিফলন না থাকে তাহলে প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

২। নিরপেক্ষ সরকারের নামে সাংবিধানিক ভাবে স্বীকৃত নয় এমন কোনো তৃতীয় ব্যক্তিকে খোঁজার প্রয়োজন নেই। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ প্রত্যেক কমিশনারগণ-ই যথেষ্ট নিরপেক্ষ। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন কমিশনারদের উপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে হবে।

৩। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে যথাযথ ভাবে শক্তিশালী করতে হবে।

৪। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দুই সপ্তাহ আগে থেকে নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার দিন পর্যন্ত জনপ্রসাশন মন্ত্রনালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয় পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে। নির্বাচন কমিশন এই চারটি মন্ত্রণালয় পরিচালনা করবে এবং তাদেরকে দিক নিদের্শনা দিবে।

৫। যেহেতু একযোগে সারা বাংলাদেশের ৩০০টি সংসদীয় আসনে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার মত পর্যাপ্ত লোকবল বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নেই, সেহেতু ভেঙ্গে ভেঙ্গে অর্থাৎ ১ থেকে ১০০ নং সংসদীয় আসনে একদিন, ১০১ থেকে ২০০ নং সংসদীয় আসনে দ্বিতীয় দিন এবং ২০১ থেকে ৩০০ নং আসনে তৃতীয় দিন অর্থাৎ ৩ দিনে সারা বাংলাদেশের ৩০০টি সংসদীয় আসনে নির্বাচন করা যেতে পারে।

৬। তিন ধাপে নির্বাচন করতে কতজন লোকবলের প্রয়োজন তা হিসাব করে অতিদ্রুত নির্বাচন কমিশন সচিবালয় লোকবল নিয়োগ দিবে। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের আর স্কুলের শিক্ষক, ব্যাংকের অফিসার, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জাতীয় নির্বাচনের কাজে ডাকা প্রয়োজন হবে না।

৭। প্রতিদিন নির্বাচন শেষে রিটার্নিং অফিসারের তত্ত্ববধায়নে উপজেলা নির্বাচনী অফিসে “ব্যাংকের বোল্টের মত” সশস্ত্র বাহিনীর পাহারায় ভোটের স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স সংরক্ষিত থাকবে।

৮। ৩ দিনে সারা দেশে ভোট গ্রহন সম্পন্ন হওয়ার ৪র্থ দিন সকালে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী বা তার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সারা বাংলাদেশে একযোগে ভোট গননা করা হবে এবং ফলাফল ঘোষনা করা হবে।

৯। ৩ দিনে পর্যায়ক্রমে ভোট গ্রহণ হওয়ায় দেশী- বিদেশী সকল মিডিয়া, নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সকল দেশী বিদেশী সংস্থা ও বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকরা প্রতিটি ভোট কেন্দ্র ঘুরে ঘুরে দেখতে পারবে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হচ্ছে কিনা। ১০০ টি সংসদীয় আসনের ভোট কেন্দ্র গুলোতে সকল সংস্থার দৃষ্টি রাখা যত সহজ, এক সাথে ৩০০ টি সংসদীয় আসনের সবগুলো ভোট কেন্দ্রে দৃষ্টি রাখা বা একদিনে সবগুলো ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করা ততটা সহজ নয়।

১০। বাংলাদেশ সর্বজনীন দল বিশ্বাস করে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য কোনো অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় না বসিয়ে বরং উন্নত বিশ্বের মত নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করে এবং জনপ্রশাসন, আইন ও বিচার, প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে পর্যাপ্ত ক্ষমতা দিলে বর্তমান নির্বাচন কমিশনই এই বাংলদেশে ইতিহাস সৃষ্টি করার মত এক অনন্য নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে পারবে। যে নির্বাচন নিয়ে কোন রাজনৈতিক দল, বেশী-বিদেশী নির্বাচনী পর্যবেক্ষনকারী সংস্থা, মিডিয়া ও কুটনৈতিকগণ কোন প্রশ্নই তুলতে পারবে না।

১১। “ইডিএম’ সম্পর্কে সকল বিরোধী দলের নেতিবাচক প্রচারনায় সাধারণ ভোটারদের মনে সংশয় ও সন্দেহ তৈরি হয়েছে। তাই বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করতে চাইলে “ইভিএম-এ ভোট” এই নীতি থেকে সরকার সরে আসলে দলীয় সরকারের অধীনে ভোটে সাধারণ মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হবে। আর বিরোধী দলের দাবির প্রতি সম্মান দেখিয়ে এতটুকু ছাড় সরকার দিতেই পারে।

১২। জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘ইভিএম-এ হবে নাকি ‘ব্যালট পেপারে’ হবে এ সিদ্ধান্ত নেয়ার শতভাগ এখতিয়ার বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের থাকা প্রয়োজন। আর নির্বাচন কমিশন উল্লেখিত ৪ টি মন্ত্রনালয়ের পুরোপুরি দায়িত্ব পেলে ভোট ‘ইভিএমে’ হোক আর ব্যালট পেপারেই হোক না কেন ভোট যে অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে এতে কোনো সন্দেহ নাই। অতএব বাংলাদেশ সর্বজনীন দল মনে করে এই নির্বাচন কমিশনের কমিশনারগণ ই শতভাগ নিরপেক্ষ ব্যক্তি। তারাই পারবে এই জাতির আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS