 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ‘গণতন্ত্র’ বাংলাদেশী জনগণের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি, স্বাধীনতার অঙ্গীকার ও আবহমান বাঙ্গালীর শাসন সংস্কৃতির উত্তরাধিকার। উপরন্ত ব্যক্তি নাগরিকের মৌলিক ও মানবিক অধিকার রক্ষার রাষ্ট্রসর্বোতভাবে অঙ্গীকরাবদ্ধ। তাই কোন অবস্থাতেই যে কোন অজুহাতে রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ একজন নাগরিকের ব্যক্তি স্বাধীনতাকে বিপন্ন বা হুমকিতে ফেলতে পারে না। বাংলাদেশী জাতি সত্ত্বা বাঙ্গালীর হাজার বছরের উত্তরাধিকার এবং পঞ্চাশ বছর পূর্বে (১৯৭২) জাতিরাষ্ট্র হিসাবে সুগঠিত হবার পর রাষ্ট্রকে কেন্দ্র করে জাতীয় আশা আকাংঙ্খা নতুনভাবে দানা বাঁধতে শুরু করে। একটি রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্যদিয়ে গঠিতস্বাধীন রাষ্ট্র অর্ধ শতাব্দী অতিক্রমকরেছে। রাষ্ট্র গঠনের শুরুতে যে সংবিধান ও শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছিল এখন তা সর্বাংশে যুগপোযোগী তা বলা যায় না। ভাষা আন্দোলন থেকে সত্তর একাত্তরের মূল চেতনা ও আঘাংসাকে সামনে রেখে সময় ও বাস্তব প্রয়োজনের নিরিখে রাষ্ট্র ও শাসন ব্যবস্থায় নানা পরিবর্তন প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। সে পরিবর্তনসমূহই ২০২০-২০২৪ সময়ের সংস্কার কর্মসূচি’ হিসাবে বিবেচ্য হতে পারে। গত দেড় দশক ধরে বাংলাদেশের সাংবিধানিক, শাসনতান্ত্রিক ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের নানা প্রসঙ্গ ও প্রস্তাব জনপরিসরে ঘুরেফিরে আলোচিত হচ্ছে। সাম্প্রতিককালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে (২০২৩) কেন্দ্র করে সংস্কার আলোচনা নতুন গতি লাভ করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে গণপরিসরের বহুল আলোচিত শাসনতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক সংস্কার প্রস্তাবসমূহের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু এখানে পুনরায় পর্যালোচনা করা হয়েছে। সাথেজাতীয় বিকেন্দ্রিকরণ নীতি, স্থানীয় সরকার ও অনুপস্থিত ভোটারদের ভোটাধিকার পানের তিনটি প্রস্তাবও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ফোরামে এই বিষয়গুলো আমি আগেও পৃথক পৃথকভাবে আলোচনা করছি এবং এখনও বিষয়সমূহ সিরিয়াস আলোচনারদাবীদার বলে মনে করি।
আলোচনার পাঁচটি প্রস্তাব:
১. সমানুপাতিকপ্রতিনিধিত্বের (Proportional Reresentation) ভিত্তিতে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান;
২. দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট আইনসভা প্রবর্তন;
৩ জাতীয় বিকেন্দ্রায়ন নীতি প্রণয়ন ও এ নীতির আলোকে শীর্ষ থেকে তৃণমূল পর্যন্ত প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থার পুনর্বিন্যাস;
৪. একটি একীভূত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান আইন ও একক তফসিলে সকল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন অনুষ্ঠান;
৫. ভোটার অংশগ্রহন বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতীয় নির্বাচনে ‘পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতি” চালু এনআরবি ও প্রবাসীদের ভোটাধিকার চর্চার সুযোগ দান।
 
                                 
									Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply