সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৩১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
Financial Statements (Q1) of Monno Agro & General Machinery Ltd. বাংলালিংকের মাইবিএল অ্যাপে গ্রাহকের হাতেই এখন ডিজিটাল নিয়ন্ত্রণ হবিগঞ্জে ৪টি আসনে ৬৪৭ কেন্দ্রে ভোট দিবেন ১৮ লক্ষ্যধিক ভোটার সৌজন্য সাক্ষাৎকালে ঢাবি উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন: দেশ ও জাতি গঠনে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্তের সংখ্যা মোট ৭৯,৭২২ চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাকে প্রথম শ্রেণির নাগরিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করার দাবিতে স্মারকলিপি পেশ বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে এসএমই উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ডিআরইউ’র শুভেচ্ছা বার্তা চট্টগ্রাম সমিতিতে হাসিনা মার্কা কোন নির্বাচন আয়োজন করতে দেওয়া হবে না চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ৩৮৪.৭৬ কোটি টাকার দাবি নিষ্পত্তি করেছে গার্ডিয়ান,

কমতে শুরু করেছে সরকারি ঋণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২২

করোনার প্রভাব কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশের বেসরকারি খাত। কারণ উল্টো পথে চলতে থাকা বেসরকারি ঋণের হার বাড়তে শুরু করেছে। অন্যদিকে ব্যাংকিং খাত থেকে নেয়া সরকারের ঋণের হার একেবারেই কমে এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বর পর্যন্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ৩৩ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বের দেনা শোধ দিয়েছে ১৪ হাজার ৫৯৯ কোটি। সুতরাং ব্যাংক খাত থেকে সরকারের নিট ঋণের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা। কারণ গতবছরের (২০২০) ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাত থেকে সরকারের ঋণের পরিমাণ ছিল ৪৩ হাজার ৬৭৬ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা মহামারির ক্ষত কাটিয়ে উঠছে দেশের অর্থনীতি। এখনও রাজস্ব আদায়ের হার সেভাবে বাড়েনি। সরকারের দৈনন্দিন ব্যয় নির্বাহ ও বার্ষিক কর্মসূচি বাস্তবায়নে (এডিপি) অর্থের প্রয়োজন হচ্ছে।

বিশেষ করে মেগাপ্রকল্পগুলোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এজন্য সরকার অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নিচ্ছে। ব্যাংক থেকে যেকোনো পদ্ধতিতেই সহজে ঋণ নেয়া যায় বলেই সরকার এদিকে যাচ্ছে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন ব্যাংকগুলোয় তারল্যর সরবরাহে কোনো চাপ তৈরি না হয়।

জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে (২০২১-২২) সরকারের ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। কিন্তু চলতি অর্থবছরের প্রথ ছয় মাসে (ডিসেম্বর) নতুন ঋণ নেয়া ও পুরোনোর সুদ-আসল পরিশোধ শেষে সরকারের নিট ঋণ নেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৭৮১ কোটি পাঁচ লাখ টাকা।

এই সময়ে সরকার ঋণ নেয়ার পাশাপাশি পুরোনো ঋণের সুদ ও আসল কিছু পরিশোধ করেছে। ব্যাংকারদের মতে, বেসরকারি খাতে ঋণ দিলে খেলাপি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আবার করোনাকালে ঋণ চাহিদা কম ছিল, কিন্তু আমানতকারীদের ঠিকই সুদ দিতে হবে। এজন্য অপেক্ষাকৃত কম সুদ হলেও সরকারের বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ করেছে ব্যাংকগুলো। তখন এ খাত থেকে ইল্ড বা মুনাফার হার ছিল পাঁচ শতাংশ। এখন  তা সাড়ে সাত শতাংশে চলে এসেছে।

ব্যাংকগুলো এ খাতে বিনিয়োগ করলে সোয়া আট শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা নিতে পারবে। এজন্য এখন ব্যাংকগুলো আরও আগ্রহী হয়ে উঠছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত নভেম্বরে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ। যা গত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। করোনার কারণে বেসরকারি ঋণের হার নেমে এসেছিল সর্বনিম্নে। তবে নতুন করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে খাতটি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS