মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৩৩ অপরাহ্ন

পিকে হালদারকে ফিরিয়ে আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে: দুদক চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : রবিবার, ১৫ মে, ২০২২

দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা লুট করে পালিয়ে যাওয়া প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদার পশ্চিম বাংলার কলকাতায় গ্রেফতার হয়েছেন। তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের মুখোমুখি করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ।

শনিবার রাতে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, পিকে হালদারকে আইনের মুখোমুখি করতে যত দ্রুত সম্ভব ফেরত আনার চেষ্টা করা হবে। এক্ষেত্রে চেষ্টার কোনো ত্রুটি করা হবে না। অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে দুই দেশের বহিঃসমর্পণ চুক্তির আওতায় ফেরত আনার পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যত দ্রুত সম্ভব তাকে আনার চেষ্টা করা হবে।

আজ শনিবার (১৪ মে) ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) পিকে হালদারকে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করে। এর আগে পশ্চিম মেদিনীপুরসহ কয়েকটি জায়গায় পিকের বিপুল পরিমাণ সম্পদের খোঁজ পায় ইডি। ওই জায়গাগুলোতে অভিযান চালানো হয়। যদিও এসব সম্পদের বড় অংশই বেনামে কেনা। তবে বাংলাদেশ থেকে পাচার করে নিয়ে যাওয়া অর্থ দিয়ে এসব সম্পদ কেনা হয়েছে বলে সন্দেহ ইডির।

পিকে হালদারের গ্রেফতারের বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, পিকে হালদারকে গ্রেপ্তারের জন্য এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থাকে (ইন্টারপোল) চিঠি দিয়েছে দুদক।

দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, কমিশনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্টও জারি হয়। এরপর ভারত সরকারের পক্ষ থেকে তার সম্পর্কে কিছু তথ্য চাওয়া হলে দুদক থেকে সেগুলো সরবরাহ করা হয়। তাকে গ্রেপ্তার করে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে দুদকের প্রচেষ্টা বরাবরই ছিল।

বহুল আলোচিত পিকে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বেশ আগেই ইন্টারপোল থেকে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল। তার ফিঙ্গারপ্রিন্টসহ চাহিদা অনুযায়ী নথিপত্র সংশ্নিষ্ঠ দপ্তরে সরবরাহ করা হয় তখন।

এদিকে সরকারের সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন দপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী- সবাই ভিন্ন ভিন্ন আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে ফিরিয়ে আনার জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক চুক্তি, বহিঃসমর্পণ চুক্তি, বন্দি বিনিময় চুক্তিসহ নানা প্রক্রিয়ায় পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার পিকে হালদারসহ তার ছয় সহযোগীকে দেশে ফিরিয়ে আনার কাজ এরইমধ্যে শুরু হয়েছে। স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দুদক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে তাদের দেশে ফেরাতে চায়।

আর্থিক খাতের প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পিকে হালদারসহ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে ৩৫টি মামলা করেছে দুদক। অস্তিত্বহীন প্রায় ৩০ থেকে ৪০টি প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে ঋণের নামে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেড ও পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসেস থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। দুদক তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করলে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।

পালিয়ে যাওয়ার পর পিকে হালদার কানাডায় স্থায়ী আবাস গড়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়। কিন্তু তিনি কবে থেকে ভারতে ছিলেন, কী কারণে কানাডা ছেড়ে ভারতে এসেছিলেন সে সম্পর্কে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS