 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা এজাজ ইমতিয়াজ জোয়ার্দার বিপুল এর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠলেও তিনি বহাল তবিয়তে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্যের ভাগ্নে হওয়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে আইনের চোখ ফাঁকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
হত্যা মামলার আসামি হয়েও চেয়ারম্যান পদে বহাল
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাগদাহ ইউনিয়নের জহুরুননগর গ্রামের দবির আলী হত্যাকাণ্ডে এজাজ ইমতিয়াজ বিপুলের সংশ্লিষ্টতা থাকলেও তিনি এখনও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে বহাল রয়েছেন। তিন বছর আগে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। দীর্ঘদিন মামলার কার্যক্রম চললেও বিপুল কেবল একবার গ্রেপ্তার হন এবং পরে জামিনে মুক্ত হন। চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার হওয়ার পরও তিনি পুনরায় সেই পদে ফিরে আসেন।
দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের পাহাড়
এজাজ ইমতিয়াজ বিপুলের বিরুদ্ধে রয়েছে বিভিন্ন সরকারি ভাতা ও সহায়তা কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগ।
 মাতৃত্বকালীন ভাতা ও বিধবা ভাতায় দুর্নীতি – ভাতার কার্ডের জন্য অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। নিহত দবির আলীর স্ত্রী বিধবা ভাতার কার্ড করতে গেলে তাকে মামলা তুলে নেওয়ার শর্ত দেওয়া হয়। মামলা না তুললে তাকে কার্ড দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেন বিপুল।
 মাতৃত্বকালীন ভাতা ও বিধবা ভাতায় দুর্নীতি – ভাতার কার্ডের জন্য অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। নিহত দবির আলীর স্ত্রী বিধবা ভাতার কার্ড করতে গেলে তাকে মামলা তুলে নেওয়ার শর্ত দেওয়া হয়। মামলা না তুললে তাকে কার্ড দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেন বিপুল।
 টিসিবি পণ্য বিতরণে অনিয়ম – অসংখ্য প্রকৃত সুবিধাভোগীর নামে থাকা টিসিবি কার্ডের বরাদ্দ অন্যদের দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। বলিয়ারপুর গ্রামের মিঠু আলী জানান, তার নামে কার্ড থাকলেও পণ্য অন্যজনকে দেওয়া হয়েছে।
 টিসিবি পণ্য বিতরণে অনিয়ম – অসংখ্য প্রকৃত সুবিধাভোগীর নামে থাকা টিসিবি কার্ডের বরাদ্দ অন্যদের দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। বলিয়ারপুর গ্রামের মিঠু আলী জানান, তার নামে কার্ড থাকলেও পণ্য অন্যজনকে দেওয়া হয়েছে।
 ভিজিডি কার্ড বাণিজ্য – ইউনিয়নের হতদরিদ্র নারীদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিডি কার্ডের জন্য অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
 ভিজিডি কার্ড বাণিজ্য – ইউনিয়নের হতদরিদ্র নারীদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিডি কার্ডের জন্য অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
প্রশাসনের নিরবতা, আতঙ্কে এলাকাবাসী
এলাকাবাসীর অভিযোগ, চেয়ারম্যান বিপুলের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ থাকলেও প্রশাসন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ক্ষমতার আশ্রয়ে থেকে তিনি অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায় না।
স্থানীয় জনগণ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় এই ধরনের অপরাধ ও দুর্নীতি চলতে থাকলে নাগদাহ ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের জীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
 
                                 
									Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply