মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:০২ পূর্বাহ্ন

চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যা: ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট, ২০২৪

পশ্চিমবঙ্গের আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসককে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরের বাইরে ও ভেতরে একাধিক ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গেছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে।

সোমবার (১৯ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদন জানিয়েছে, ৯ আগস্ট সন্ধ্যা ৬ টা ১০ মিনিট থেকে ৭ টা ১০ মিনিটের মধ্যে আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসককে ধর্ষণ-হত্যার পর ময়নাতদন্ত করা হয়। আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসকেরাই এ ময়নাতদন্ত করেন।

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, নারী চিকিৎসককের নাক-মুখ বন্ধ করে শ্বাস রোধ করার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের বহিরাংশে ১৬টি ও ভেতর ৯টি ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এছাড়াও যৌন নির্যাতনেরও আলামত পাওয়া গেছে। হত্যার ধরনটি নরহত্যার পর্যায়ে পড়ে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তার গাল, ঠোঁট, নাক, ঘাড়, বাহু, হাঁটু ও যৌনাঙ্গে বাহ্যিক ক্ষত পাওয়া গেছে। অভ্যন্তরীণ ক্ষত পাওয়া গেছে ঘাড়, মাথার ত্বক ও অন্যান্য অংশের পেশিতে।

মৃত্যুর আগে তাকে সীমাহীন আঘাত দিয়ে মারা হয়েছে বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নাক-মুখ বন্ধ করে শ্বাস রোধ করার কারণেই (ওই চিকিৎসকের) তার মৃত্যু হয়েছিল। হত্যার ধরনটি নরহত্যার পর্যায়ে পড়ে। ভুক্তভোগীর যৌনাঙ্গে কোনো কিছু জোর করে প্রবেশের আলামত পাওয়া গেছে। চিকিৎসকদের ধারণা, সম্ভবত তাকে যৌন নিপীড়ন করা হয়েছিল।

ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন আরজি কর হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন ও টক্সিকোলজি বিভাগের অধ্যাপক অপূর্ব বিশ্বাস, একই হাসপাতালের একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রিনা দাস এবং এনআরএস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মলি ব্যানার্জি।

গত শুক্রবার আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সভাকক্ষে এক নারী চিকিৎসকের মরদেহ পাওয়া যায়। দীর্ঘ ৩৬ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন শেষে ওই দিন রাতে তিনি সেখানে বিশ্রাম নিতে গিয়েছিলেন। ৩১ বছর বয়সী ওই শিক্ষানবিশ নারী চিকিৎসকের মরদেহটি ছিল রক্তাক্ত, শরীরের নানা জায়গায় ক্ষতের চিহ্ন ছিল। এ ঘটনায় কলকাতার পাশাপাশি ভারতজুড়ে চিকিৎসকেরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। যা এখনও চলছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS