বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৫০ অপরাহ্ন

রেলওয়ের নিয়োগ কার্যক্রম থেকে পিএসসিকে প্রত্যাহারের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : সোমবার, ৮ জুলাই, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসে পিএসসি’র কর্মকর্তা—কর্মচারীদের জড়িত থাকার বিষয়টি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসায় রেলওয়ে নিয়োগ কার্যক্রম থেকে পিএসসিকে প্রত্যাহার করে পূর্বের ন্যায় বাংলাদেশের রেলওয়ে নিজস্ব প্রশ্নপত্রে রেলওয়েতে জনবল নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান মনির।

৮ জুলাই ২০২৪ (সোমবার) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ দাবি জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ত্রুটিপূর্ণ রেলওয়ে ক্যাডার বহির্ভূত কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ এর মাধ্যমে পিএসসি রেলওয়ের জনবল নিয়োগের প্রশ্নপত্র প্রণয়ন শুরু করে। পিএসসিকে দায়িত্ব দেওয়ার শুরু থেকেই বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ সংশোধনের মাধ্যমে পিএসসিকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে গত ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালককে আহ্বায়ক করে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ হালনাগাদ/সংশোধন করণের জন্য কমিটি গঠিত হয়।

কিন্তু গত ৩০ মাসেও কমিটি কর্তৃক নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ সংশোধন না করেই গায়েবী বিধিমালায় সম্পূর্ণ অবৈধভাবে জনবল নিয়োগ কার্যক্রমের মাধ্যমে রেলওয়ে পোষ্যদের অধিকার বঞ্চিত করা হচ্ছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রমাণ করে পিএসসি ও বাংলাদেশে রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা নিজেদের আখের গোছাতে রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি সহ বাংলাদেশ রেলওয়ে সকল ট্রেড ইউনিয়নের দাবি উপেক্ষা করে নিয়োগ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসে পিএসসি কর্মকর্তারা জড়িত থাকায় পিএসসি তাদের আস্থা হারিয়েছে। তাই রেলওয়ের নিয়োগ কার্যক্রম থেকে অবিলম্বে পিএসসি কে প্রত্যাহার করে পূর্বের ন্যায় বাংলাদেশের রেলওয়ে নিজস্ব প্রশ্নপত্রে রেলওয়েতে জনবল নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, এক যুগে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসসহ (বিসিএস) ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (বিপিএসসি) ছয় কর্মকর্তা—কর্মচারীর বিরুদ্ধে। গত ৭ জুলাই গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। অভিযুক্ত পিএসসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন উপপরিচালক মো. আবু জাফর, উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক এস এম আলমগীর কবির, সহকারী পরিচালক নিখিল চন্দ্র রায়, চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন ও অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান। জানা গেছে, বিপিএসসির কোনো নিয়োগ পরীক্ষা এলেই প্রশ্নফাঁস করে অর্থ লোপাটে মেতে উঠত চক্রটি। এসব তথ্য নিশ্চিত করতে দেশের একটি গণমাধ্যম গেল ৫ জুলাই শুক্রবার অনুষ্ঠিত রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলীর নিয়োগ পরীক্ষাটিকে বেছে নেয়। প্রস্তুতি শেষে ছদ্মবেশী প্রার্থীকে তুলে দেয় চক্রের সদস্যদের হাতে। এরপর শুক্রবার (৫ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত যে প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, হোয়াটসঅ্যাপে তার একটা কপি পাঠানো হয় অন্তত ১ ঘণ্টা আগে। আর অজ্ঞাত স্থানে রেখে চুক্তিবদ্ধ শিক্ষার্থীদের তা পড়ানো হয় আগের রাতেই।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS