সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
ভৈরবে মাদক সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ ১০ দফা দাবিতে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের মানববন্ধন মাইগ্রেশনের দাবি আইচি মেডিকেলের ১৫০ শিক্ষার্থীর ভৈরবে হাসপাতালে ভর্তির পর খোঁজ নেননি পরিবার, ৪৮দিন পর ব্যক্তির মৃত্যু আইবিটিআরএ-তে ‘সার্টিফিকেশন কোর্স অন ট্রেজারি ডিলিংস’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু শহীদ ছাত্র জনতার আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা চকবাজার থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল সিলেটে তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের আয়োজনে ‘ইনভেস্টমেন্ট অপারেশনস্ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ মেট্রোরেলে ১৮ দিনে আয় ২০ কোটি টাকা

বন্ধ হলো তিন হাজার বিও

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪
  • ৬১ Time View

প্রায় আড়াই বছর যাবত দেশের পুঁজিবাজার পতনের বৃত্তে আটকে রয়েছে। প্রায় সপ্তাহেই বিনিয়োগকারীরা পতনের বড় ঝাপ্টা দেখেছে। তবে পতনের ধাক্কা কাটিয়ে বাজার ধীরে ধীরে চাঙা হচ্ছে। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সুচকে সেঞ্চুরি ছুঁয়েছে। বলা যায় দীর্ঘ দিন পর বাজারে সূচকে এমন উত্থান দেখেছে বিনিয়োগকারীরা। তবে এমন চাঙ্গা বাজারেও গত সপ্তাহে মাত্র চার কার্যদিবসে তিন হাজারের বেশি বিনিয়োগকারী বাজার ছেড়েছেন। এসব বিনিয়োগকারী গত সপ্তাহে তাঁদের হাতে থাকা সব শেয়ার বিক্রি করে বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাব বন্ধ করে দিয়েছেন।

সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড বা সিডিবিএলের বিও হিসাবসংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সিডিবিএলের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ গত ৩০ জুন সদ্য বিদায়ী অর্থবছরের শেষ দিনে দেশের পুঁজিবাজারে শেয়ারসহ বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৫ হাজার ৭৫১। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে অর্থাৎ ৪ জুলাই শেয়ারসহ বিও হিসাবের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ২ হাজার ৩৪৬টি। অর্থাৎ মাত্র চার কার্যদিবসে ৩ হাজার ৪০৫টি বিও হিসাবে থাকা সব শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীরা। নিয়ম অনুযায়ী, কোনো বিনিয়োগকারী তাঁর বিও হিসাব থেকে সব শেয়ার বিক্রি করে দিলে ওই হিসাব শেয়ারশূন্য বিও হিসেবে থাকার কথা। তাতে শেয়ারসহ বিও হিসাব যত কমবে, শেয়ারশূন্য বিও তত বাড়বে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেটি ঘটেনি। কারণ, শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া বেশির ভাগ বিও হিসাব বন্ধ হয়ে গেছে।

সিডিবিএল সূত্রে জানা যায়, প্রচলিত নিয়মে প্রতিবছরের জুলাই মাসে বার্ষিক মাশুল দিয়ে বিও হিসাব হালনাগাদ রাখতে হয়। যাঁরা বার্ষিক মাশুল দিতে চান না, তাঁরা শেয়ার বিক্রি করে বিও হিসাব বন্ধ করে দেন। এতে বাজারে সক্রিয় বিও হিসাবের সংখ্যা কমে যায়। গত সপ্তাহ শেষে পুঁজিবাজার সক্রিয় বিও হিসাব প্রায় ৪ হাজার কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৭১ হাজার ১২৫টিতে। ৩০ জুন এ সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ৭৫ হাজার ১৪৬। সেই হিসাবে গত চার কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে ৪ হাজার ২১টি সক্রিয় বিও হিসাব বন্ধ হয়ে গেছে।

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কয়েক বছর ধরে পুঁজিবাজারে মন্দাভাব চলছে। সদ্য বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১ হাজার ১৫ পয়েন্ট বা ১৬ শতাংশ। এ সময়ে ৬ হাজার ৩৪৩ পয়েন্ট থেকে সূচকটি নেমে এসেছে ৫ হাজার ৩০০ পয়েন্টের ঘরে। ফলে হতাশ বিনিয়োগকারীরা বাজার ছাড়ছেন সুযোগ পেলেই। দীর্ঘদিন শেয়ারের ওপর সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস আরোপ থাকায় বিনিয়োগকারীরা চাইলেও শেয়ার বিক্রি করতে পারেননি। কিন্তু গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ধাপে ধাপে এই ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হয়। এতে বাজারে দরপতন শুরু হলেও বিনিয়োগকারীদের জন্য শেয়ার বিক্রি সুযোগ তৈরি হয়। এ সুযোগে অনেক বিনিয়োগকারী লোকসানে শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে হলেও বাজার ছেড়ে যাচ্ছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS