রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৫ অপরাহ্ন

ওয়ালটনের নতুন মাইলফলক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : রবিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২২
  • ২৯৭ Time View

ইলেকট্রনিক্সের মতো দেশের ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সের বাজারেও শীর্ষস্থানের পথে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন। পরিবেশবান্ধব ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ওয়ালটন ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সে আস্থা রাখছেন গ্রাহকরা। ফলে ওয়ালটনের তৈরি সুইস-সকেট, ফ্যান, এলইডি লাইট, লিফটসহ ইলেকট্রিক্যাল পণ্যের বিক্রয় প্রবৃদ্ধিতে অর্জিত হচ্ছে নতুন মাইলফলক।

ওয়ালটন, মার্সেল ও সেইফ- এই তিন ব্র্যান্ডের আওতায় গত মার্চ মাসে প্রতিষ্ঠানটির ইলেকট্রিক্যাল পণ্যের বিক্রি দাঁড়িয়েছে ১২৭ কোটি টাকায় ।  যা কিনা এক মাসে সর্বোচ্চ পরিমাণ বিক্রির এক নতুন রেকর্ড। ২০২০-২১ অর্থবছরে এ খাতে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৫২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

সম্প্রতি রাজধানীর ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র করপোরেট অফিসে আয়োজিত ‘এক মাসে সর্বোচ্চ পরিমাণ ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স বিক্রির নতুন মাইলফলক’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে কেক কেটে ইলেকট্রিক্যাল পণ্য বিক্রির এই অসাধারণ সাফল্য উদযাপন করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ।

সে সময় তারা ওয়ালটন, মার্সেল ও সেইফ ব্র্যান্ডের আকর্ষণীয় ডিজাইনের ৩টি নতুন প্রিমিয়াম মডেলের সিলিং ফ্যান বাজারজাত কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এসব নতুন মডেলের মধ্যে রয়েছে ওয়ালটনের গ্লোরিয়া ফ্যান, মার্সেলের রোজ ফ্যান এবং সেইফ ব্র্যান্ডের বেলি ফ্যান।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার ও এমদাদুল হক সরকার, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ডিএমডি মো. লিয়াকত আলী, ওয়ালটন প্লাজা ট্রেডস এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মোহাম্মদ রায়হান, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস এম জাহিদ হাসান, আরিফুল আম্বিয়া, ইউসুফ আলী, চিফ মার্কেটিং অফিসার মো. ফিরোজ আলম, রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টারের প্রধান প্রকৌশলী তাপস কুমার মজুমদার, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ইউনিটের প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম, মার্সেল ব্র্যান্ডের হেড অফ সেলস ড. মো. সাখাওয়াৎ হোসেন, ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স বা ইএপি’র সিবিও সোহেল রানা, ইএপি বিভাগের উপদেষ্টা ওমর ফারুক, সেলস কো-অর্ডিনেটর আবদুল্লাহ আল মামুন, ইএপি’র ব্র্যান্ড ম্যানেজার মো. জাকিবুর রহমান সেজান ও মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।

কর্মকর্তারা জানান, বাজারে অন্যান্য ব্র্যান্ডের তুলনায় ওয়ালটন, মার্সেল ও সেইফ ব্র্যান্ডের ইলেকট্রিক্যাল পণ্যের মান অনেক উন্নত, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, টেকসই এবং দামও সাধ্যের মধ্যে থাকায় বিক্রিতে এই সাফল্য এসেছে।

ওয়ালটন হাই-টেকের সিইও গোলাম মুর্শেদ বলেন, বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সের এক বিশাল বাজার। বর্তমান সরকারের ধারাবাহিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি, শিল্পোন্নোয়ন ও শতভাগ বিদ্যুতায়নের ফলে দেশে ইলেকট্রিক্যাল পণ্যের ব্যবহার ও চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। অচিরেই ইলেকট্রিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি দেশের অন্যতম এক বৃহৎ শিল্পখাত হয়ে উঠবে। ওয়ালটনের টার্গেট- এ খাতের স্থানীয় বাজারের সিংহভাগ মার্কেট শেয়ার অর্জন করা। সেজন্য ক্রেতাদের পছন্দের ডিজাইন ও চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহে

ওয়ালটনের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন এবং সেলস টিম সমন্বিতভাবে কাজ করছে। ওয়ালটনের তৈরি ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্ল্যায়েন্স একদিকে যেমন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, তেমনই পরিবেশবান্ধব।

ইএপি’র সিবিও সোহেল রানা জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে ইলেকট্রিক্যাল পণ্য বিক্রিতে আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৫২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। বিক্রয় প্রবৃদ্ধির বর্তমান ধারার প্রেক্ষিতে ২০২৬ সালে ৩ হাজার কোটি টাকার ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স বিক্রির টার্গেট নেয়া হয়েছে। স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইলেকট্রিক্যাল পণ্য রপ্তানিতেও প্রবৃদ্ধি অর্জিত হচ্ছে। ইউরোপ, আমেরিকায় ইলেকট্রিক্যাল পণ্য রপ্তানির প্রক্রিয়া চলছে। গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের হেডকোয়ার্টারে রয়েছে বিশ্বের সর্বাধুনিক ও আন্তর্জাতিকমানের ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেস ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট। প্রোডাকশন লাইনে জার্মানি, জাপান, তাইওয়ান থেকে আনা সর্বাধুনিক মেশিনারিজে তৈরি হচ্ছে এলিভেটর, এলইডি লাইট, সুইস-সকেট, সিলিং ফ্যান, রিচার্জেবল ও টেবিল ফ্যানসহ অংসখ্য ইলেকট্রিক্যাল পণ্য।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS