মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৫৭ অপরাহ্ন

রমজান আগমনের ৩ উদ্দেশ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শুক্রবার, ৮ এপ্রিল, ২০২২

ইসলামের পঞ্চ ভিত্তির অন্যতম রমজান মাসের রোজা পালন। মুসলমানদের জন্য যা ফরজ করা হয়েছে। তাই মুসলমানরা মাসটির আগমনের প্রতীক্ষায় থাকে দীর্ঘ ১১টি মাস। শাবান মাসের শবেবরাত শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গে রমজান মাসের আগমনের পদধ্বনি শুরু হয়। কিন্তু রমজানের সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্য কি? তা নিয়ে লিখেছেন মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ

তাকওয়া অর্জন করা
রমজানের সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্য হলো, তাকওয়া অর্জন করা। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর; যেন তোমরা পরহেজগারি অর্জন করতে পারো।’ (সুরা বাকারা : ১৮৩)।

তাকওয়া কি জিনিস?
ওমর (রা.) ইবনে কাব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘তাকওয়া কি জিনিস?’ তিনি বললেন, ‘আপনি যদি কাঁটাযুক্ত কোনো পথ দিয়ে হেঁটে যান, তাহলে কীভাবে যাবেন?’ তিনি বললেন, ‘খুবই সতর্কতার সঙ্গে চলব, যাতে শরীরে কাঁটা না ফোটে।’ তিনি বললেন, ‘এটাই তাকওয়া।’ সুতরাং খুবই সতর্কতার সঙ্গে নিজের চোখে, কান, জিহ্বাসহ অন্য সব অঙ্গকে আল্লাহর নাফরমানি থেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। জাবের (রা.) বলেন, ‘তুমি যখন রোজা রাখো, তোমার কান, চক্ষু ও জিহ্বাও যেন রোজা রাখে।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা : ৮৮৫২)।

সংযমী হওয়া
ধৈর্যধারণ করতে শেখা; অন্য অর্থে সংযমী হওয়া। ধৈর্য তিন প্রকার—১. সৎকাজ পালনে ধৈর্য ধারণ, ২. অসৎকাজ থেকে বিরত থাকতে ধৈর্য ধারণ, ৩. বিপদ-আপদে ধৈর্য ধারণ। রোজার মাধ্যমে তিন প্রকার ধৈর্যের অনুশীলন করে নিজের জীবনে প্রতিফলন ঘটানোর চেষ্টা করা।

ক্ষমা চাওয়া
কৃত গোনাহগুলো মাফ করিয়ে নেওয়া। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমার কাছে জিবরাইল আলাইহিস সালাম এসে বললেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান পেল, অথচ তার গোনাহ মাফ হয়নি, সে জাহান্নামে প্রবেশ করুক, আল্লাহ তাকে দূরে ঠেলে দিক। বলুন, আমিন।’ আমি বললাম, ‘আমিন।’ (তারগিব : ১৬৭৯)।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS