সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন

পাবনায় তীব্র শীত, বইছে হিমেল হাওয়া: জনজীবন স্থবির

মোহাম্মদ আলী স্বপন
  • আপডেট : রবিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৪

পাবনা প্রতিনিধি: পাবনায় তীব্র শীত, হিমেল হাওয়া ও কুয়াশায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। এতে শ্রমজীবী মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্মে নেমে এসেছে স্থবিরতা। এ অঞ্চলের অসহায় ও দিনমজুর পরিবারগুলো শীতে কাহিলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোর রাত থেকে এই তীব্র শীত ও হিমেল হাওয়া বইছে। কুয়াশায় দিনভর সূর্যের দেখা মেলেনি। কয়েকদিন ধরে এ অঞ্চলে তীব্র শীতের প্রভাব বাড়ছে। সকালে থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় মহাসড়কে ধীরগতিতে চলাচল করছে যানবাহন। তবে দূরপাল্লার অধিকাংশ যানবাহন হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলে এটি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

হিমেল হাওয়া ও তীব্র শীতে জেলা ও উপজেলা শহরসহ বিভিন্ন স্থানে জনসমাগম তেমন দেখা যায়নি। তবে এ শীত নিবারণে বিভিন্ন স্থানে গরম কাপড় কেনার হিড়িক পড়েছে এবং চলাচলে যাত্রী না থাকায় রিকশাসহ ছোটখাট যানবাহন চালকরা শীতের কাপড় জড়িয়ে অবস্থান করছে। এমনকি এ অঞ্চলে কৃষকেরাও মাঠে নামতে হিমশিম খাচ্ছে এবং অনেক স্থানে আগুনের কুন্ড জ্বালিয়ে এই শীত নিবারণ করছে।

পাবনার ঈশ্বরদী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন বলেন, শুক্রবার থেকে ঈশ্বরদীতে এ মৌসুমে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। আজ এ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বর্তমানে ঈশ্বরদীসহ উত্তরের কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। এই অবস্থা আরও কয়েক দিন থাকতে পারে। বাড়তে পারে শীতের তীব্রতা।

এদিকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ঈশ্বরদী, আটঘরিয়া, ভাঙ্গুড়া উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে হতদরিদ্র মানুষ কষ্টের মধ্যে পড়েছে। বেড়ে চলছে সর্দি, কাশি ও ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ।

আটঘরিয়া উপজেলার চাঁদভা এলাকার দিনমজুর কামাল হোসেন বলেন, ‘ভীষণ শীত পড়ছি আইজ। সে জন্য তীব্র শীতের মধ্যি আইজ আর ঘর থেইকা বের হই নাই। ঠান্ডায় হাত-পা জমি (জমে) যাওয়ার উপক্রম হইছে। সরকারিভাবে কোনো শীতবস্ত্র পাই নাই আমি।’

পাবনার চাটমোহর রেল স্টেশনে ঘুরে দেখা গেছে, স্টেশনে যাত্রীসংখ্যা কম। তীব্র শীতের কবলে পড়ে স্টেশনের আশপাশে আশ্রয় নেওয়া হতদরিদ্র ছিন্নমূল মানুষ ভীষণ কষ্টে আছে। রেলস্টেশন প্ল্যাটফর্মে তৃণমূল মানুষদের থাকার বৈধতা না থাকায় অনেককে ইয়ার্ড ও রেললাইনের মধ্যে বসে তীব্র শীতে কাতর হতে দেখা গেছে।

কথা হয় সিরাজগঞ্জ জেলার খোকন নামের এক দরিদ্র ব্যক্তির সঙ্গে। কেমন আছেন? জিজ্ঞেস করায় তিনি কাতর কণ্ঠে বলেন, ‘অনেক শীত! ঠান্ডায় আমার অবস্থা ভালো না। ঠান্ডার চোটে কথা কইতে পারতেছি না। অসুস্থ হইয়া পড়ছি, পরে কথা কইমুনে।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS