অনেকের হেপাটাইটিস বি পজিটিভ হলেও তারা জানে না। পরীক্ষা করতে গেলে ধরা পড়ে। বি ভাইরাসটা সম্বন্ধে জানা আমাদের জন্য খুব দরকার। কারণ আমরা আসলে জানি না আমাদের কাদের বি ভাইরাস আছে। না জানার জন্য বি ভাইরাস থেকে অনেক সময় লিভার সিরোসিস, লিভার ক্যানসার হয়ে যায়।
হেপাটাইটিস বি এর লক্ষণ শুরুতে থাকে না। সংক্রমণের প্রায় ১ থেকে ৪ মাস পর এই লক্ষণগুলো বোঝা যায়। শিশুদের ক্ষেত্রে উপসর্গ না থাকার সম্ভাবনা বেশি।
লক্ষণগুলো-
১. পেটে ব্যথা
২. জ্বর
৩. সন্ধিতে যন্ত্রণা
৪. ক্ষুধা কমে যাওয়া
৫. বমি বমি ভাব
৬. দুর্বলতা ও ক্লান্তি
কীভাবে ছড়ায়–
১. হেপাটাইটিস বি ভাইরাস শরীরের বিভিন্ন তরল যেমন রক্ত, লালা, যোনী তরল ও বীর্যের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
২. আমাদের দেশে ইনজেকশনের মাধ্যমে বেশি ছড়ায়। যারা মাদক নেন তাদের মধ্যে ছড়ায় বেশি। কারণ তারা একই সুঁই অনেকে বা বারবার ব্যবহার করেন।
৩. বাবা মায়ের থাকলে শিশুর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে মায়ের থাকলে বাচ্চারও হতে পারে।
৪. পথের খাবারগুলো থেকেও ছড়াতে পারে। কারণ অপরিষ্কার পাত্রে পরিবেশন করা হয়। এর থেকেও ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ভাইরাস।
হেপাটাইটিস বি একটি প্রাণঘাতী ভাইরাস হলেও একে টিকার মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যায়। বাংলাদেশে ২০০৩-৫ সাল থেকে শিশু জন্মের পর ইপিআই ভ্যাকসিন শিডিউলের মাধ্যমে অন্যান্য রোগের পাশাপাশি হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের টিকা বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া পূর্ণবয়স্ক মানুষও চাইলে যেকোনো বয়সে এই ভাইরাসের টিকা নিতে পারবেন।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply