বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ০১:৪২ পূর্বাহ্ন

নির্বাচন অবশ্যই মুক্ত, অবাধ ও সুষ্ঠু হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বুধবার, ২৪ মে, ২০২৩

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবশ্যই মুক্ত, অবাধ ও সুষ্ঠু হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক যে অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা কখনোই বিপন্ন করবে না বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

বুধবার (২৪ মে) কাতার ইকোনমিক ফোরামের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে এক আলোচনায় একথা বলেন তিনি।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালে আমার বাবাকে হত্যার পর সামরিক বাহিনী দেশের ক্ষমতা দখল করে এবং সে সময় সব নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সংকটাপন্ন করে তোলা হয়েছিল। সে সময় নির্বাচন ছিল স্রেফ তামাশা। এরপর যখন আমি ১৯৮১ সালে দেশে ফিরি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আমাকে দলের সভানেত্রী নির্বাচন করে, সেই তখন থেকে আজও আমি গণতন্ত্র, জনগণের ভোটের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছি।’  

দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেশে মুক্ত, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করাই আমাদের সংগ্রাম। আমরা ক্ষমতায় থাকাকালে এটি করে দেখিয়েছি। হ্যাঁ, কিছু ক্ষেত্রে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে। কিন্তু বিরোধীদের যে অবস্থান, বিশেষ করে প্রধান যে বিরোধীদল তা তো একজন স্বৈরশাসকের হাতে গড়া। প্রথমে তারা ক্ষমতা দখল করেছে, তারপর দল গঠন করেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে কেউই কোনো প্রশ্ন তোলেনি। কিন্তু সেই নির্বাচনের ফলাফল কী ছিল? সেই দলটি ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল।’ 

‘দেশের মানুষই ঠিক করবে কারা দেশ পরিচালনা করবে এবং আমি এই অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। এটি জনগণেরই ক্ষমতা, আমি তাদের ক্ষমতা তাদের কাছেই রাখতে চাই। ক্ষমতা দখল করে রাখতে চাই না; বরং আমি দেশের জনগণকেই ক্ষমতায়িত করতে চাই, যাতে তারা তাদের অধিকার চর্চা করতে পারে। সুতরাং আমাদের সরকারের অধীনে নির্বাচন অবশ্যই মুক্ত, অবাধ ও সুষ্ঠু হবে,’ যোগ করেন শেখ হাসিনা।  

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি আরও বলেন, ‘কিছু দল বলছে, তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। কীভাবে অংশ নেবে? তাদের সময়ে তো দেশের মানুষের প্রচুর ভোগান্তি হয়েছে। সে সময় সন্ত্রাসবাদ এবং দুর্নীতি ছিল সর্বগ্রাসী। জনগণের ব্যাপারে তাদের কোনো ভ্রুক্ষেপই ছিল না। সে সময় দেশের মানুষ এক বেলা পেট পুরে খেতে পারত না। এই ছিল তাদের অবস্থা।’ 

নির্বাচনকে জনগণের অধিকার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কী (উন্নয়ন কর্মকাণ্ড) করেছি তারা তা দেখেছে। তারা যদি আমাকে ভোট দেয় তাহলে আমি আছি, আর যদি না দেয়, তবে ঠিক আছে, আমি থাকব না। আমাদের সময় অনেক উপনির্বাচন, স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কে সেখানে সমস্যা তৈরি করেছে? আমরা তো করিনি। কিন্তু সব নির্বাচনেই তো কিছু ঘটনা ঘটে।’ 

সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের বিষয়ে বিদেশিদের আশ্বস্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সবাইকে বলেছি, যে আপনারা যদি চান তাহলে পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারেন। আমি এখানে এসেছি, আমাদের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে এবং এটিই আমাদের সংগ্রাম। এই সংগ্রাম করতে গিয়ে বহুবার আমাকে নানা প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে যেতে হয়েছে, যা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। তারপরও আমি বেঁচে আছি। হয়তো আল্লাহ আমাকে দিয়ে কিছু কাজ করিয়ে নিতে চেয়েছেন। তাই হয়তো আমি এখানে।’

সরকার দেশের জনগণের অধিকার বিপন্ন করবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেন আমি দেশের মানুষের সেই অধিকারকে বিপন্ন করব, যা আমরাই প্রতিষ্ঠা করেছি? তাদের (বিদেশিদের) এটা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। অবশ্যই দেশে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। তবে সেনা শাসকরা যেসব দল তৈরি করেছে, যেসব দল যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে গঠিত, তারা হয়তো এতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না-ও করতে পারে। কিন্তু সেই দলগুলো ছাড়াও তো আরও দল রয়েছে। সেসব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS