ঘূর্ণিঝড় মোখার ধাক্কা লেগেছে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহে। সমুদ্র উত্তাল থাকায় শুক্রবার (১২ মে) থেকে বন্ধ রয়েছে মহেশখালীতে দুটি ভাসমান টার্মিনালের গ্যাস সরবরাহ। এর প্রভাব পড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদনে। আর এ কারণে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে লোডশেডিং হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
নীতিনির্ধারকদের আশ্বাস, ঘূর্ণিঝড় কেটে গেলে শিগগিরই স্বাভাবিক হবে গ্যাস-বিদ্যুৎ পরিস্থিতি।
মোখার সর্বশেষ অবস্থান-
শনিবার (১৩ মে) রাতে দেয়া এক ফেসবুক পোস্টে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
তিনি পোস্টে লিখেন, ‘অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে স্বাভাবিকভাবেই বেশ কয়েকটি গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন আংশিক চালু ও বন্ধ রয়েছে। ফলে ঢাকাসহ দেশের অনেক জায়গাতেই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না। অনাকাঙ্ক্ষিত এই অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
পোস্টে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কেটে যাওয়া মাত্রই ভাসমান টার্মিনালগুলো থেকে গ্যাস সরবরাহ এবং গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পূর্ণ সক্ষমতায় চালু করা হবে বলে জানান তিনি।
মহাদুর্যোগে সবার সুস্থতা ও নিরাপত্তা কামনা করেন প্রতিমন্ত্রী।
এদিকে রাজধানীতে দিনভর লোডশেডিংয়ের ধাক্কা রাতেও অব্যাহত ছিল। দিনের আলো নিভতেই বাসাবাড়ি থেকে রাজপথ-রাজধানীর অনেক জায়গা মিশে যায় অন্ধকারে।
নগরবাসী বলছেন, শনিবার সকাল থেকেই ভুগতে হয়েছে অসহনীয় লোডশেডিংয়ে। বিদ্যুৎ না থাকায় পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে হচ্ছে জেনারেটরসহ বিকল্প নানা ব্যবস্থায়।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply