অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার গতি ক্রমেই বাড়ছে। বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করার সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮০ কিলোমিটার ওঠার আশঙ্কা রয়েছে।
তাণ্ডবের সময় মোখার স্থায়িত্ব হতে পারে চার থেকে সর্বোচ্চ ছয় ঘণ্টা। তারপর দুর্বল হবে মোখা। এ ঘূর্ণিঝড়ের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে সেন্টমার্টিন দ্বীপ। এই দ্বীপের ওপর দিয়েই মোখা বাংলাদেশ অতিক্রম করবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার গতি ১৩০ কিলোমিটার থেকে ১৫০ কিলোমিটারে পৌঁছেছে। ফলে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। মোখার এ দানবীয় আকারে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মোখা ভোর ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মোখা ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০৪ কিলোমিটার বেগে অতিক্রম করতে পারে বলে আমেরিকার নৌবাহিনী পরিচালিত জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
আর ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ওপর দিয়ে আঘাত করলেও বাংলাদেশের সব উপকূলীয় জেলা ব্যাপক জলোচ্ছ্বাসের সম্মুখীন হবে। ঘূর্ণিঝড়টির যাত্রাপথ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার ভৌগোলিক অবস্থান ও আকৃতির কারণে এ জলোচ্ছ্বাস হবে বলে তিনি জানান।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS