শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:১৪ অপরাহ্ন

আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৯তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শনিবার, ৬ মে, ২০২৩
  • ১৮৫ Time View

নিজস্ব প্রতিনিধি: আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপির স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটরিয়ামে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত (মরণোত্তর) বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৯ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা ও স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আলোচনা ও স্বরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি স্মৃতি পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল বাতেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মোজাম্মেল হক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার একজন অকুতোভয়ী বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা ভারতের দেরাদূনে একই সাথে ট্রেনিং করেছিলাম। তিনি একজন আদর্শ শিক্ষকও ছিলেন। একই সাথে শ্রমজীবী মানুষের মহান নেতা ছিলেন। তিনি আমৃত্যু শ্রমজীবী মেহনতী মানুষের অধিকার আদায়ে সোচ্চার ছিলেন। আজকের এই দিনে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপিকে বড়ো বেশি প্রয়োজন। বর্তমান শ্রমিক লীগকে ইস্পাত কঠিন ঐক্য ধরে রাখতে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপির আদর্শ ধারন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি হত্যার সত্যিকার অর্থে বিচার আমরা আজো পাই নি। সত্যিকার বিচার হলে এই হত্যার মাস্টার মাইন্ডদের মুখোশ বেরিয়ে আসবে।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রমজীবী মানুষের অত্যন্ত প্রিয় নেতা ছিলেন আমার পিতা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি। অথচ বিএনপি জামাত এর খুনী কুচক্রী মহল প্রকাশ্য দিবালোকে ব্রাশফায়ার করে আমার পিতাকে নির্মম ভাবে হত্যা করে। আমি আশা করি, অবিলম্বে এ পাশবিক হত্যার বিচার হবে। আপিল বিভাগ থেকে দ্রুত আপিল নিস্পত্তি হয়ে এই অমানবিক হত্যাকান্ডের রায় কার্যকর হবে।

শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার ( গাজীপুর- ২ গাজীপুর সদর – টঙ্গী ) আসন হতে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুবার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু’দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য। তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ – (বিলস)-এর চেয়ারম্যান। তিনি শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন।

১৯৯২ সালে উপজেলা পরিষদ বিলোপের পর চেয়ারম্যান সমিতির আহবায়ক হিসেবে উপজেলা পরিষদের পক্ষে মামলা করেন ও দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলেন। এক পর্যাযে তিনি গ্রেফতার হন ও কারা ভোগ করেন।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ৭ মে বিএনপি জোট সরকারের মদদপুষ্ট একদল সন্ত্রাসী নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে । ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল দ্রুত বিচার আইনে এ হত্যা মামলার রায় হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS