সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২৯ অপরাহ্ন

ভৈরবে জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তে ঈদের কেনাকাটা

ইমন মাহমুদ লিটন
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৩
  • ১৬৫ Time View

ভৈরব(কিশোরগঞ্জ)প্রতিনিধি: ঈদ আসতে আরো বেশ কদিন বাকি বিভিন্ন স্থানে জমে উঠেছে ঈদবাজার। মার্কেট থেকে ফুটপাত সবখানে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। 

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ঈদের কেনাকাটা জমে উঠেছে শহরের নিউমার্কেট, ছবিঘর শপিং কমপ্লেক্স, ইয়াকুব সুপার মার্কেট, হকার মার্কেট, হাজী আসমত আলী মার্কেট, সালাম প্লাজা, ফকির মার্কেটসহ শহরের প্রতিটি বিপণি বিতান, পাদুকা দোকান ও কসমেটিক্সের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। 

প্রতিটি দোকানে শাড়ি, লুঙ্গি, থ্রিপিস, ফ্রক, প্যান্ট, শার্ট বেচাকেনার ধুম পড়েছে। ঈদে এছাড়া ফুটপাতের দোকানেও হকাররা বেচাকেনা করছেন বেশ। গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন ফুটপাতের দোকান থেকে কম দামে কেনাকাটা সারছেন।

তবে মার্কেটগুলোতে দেশি পোশাকের পাশাপাশি ভারতীয় পোশাকের কেনাবেচা চোখে পড়ার মতন। বিশেষ করে বরাবরের মতন এবারও তরুণীদের চোখ চটকদার নামে নিত্য নতুন ভারতীয় কাপড়ের দিকেই। ক্রেতাদের এরকম চাহিদা মেটাতে তাই দোকানে দোকানে দোকানিরা সাজিয়ে রেখেছেন নানা ডিজাইনের লং কামিজ লেহেঙ্গাসহ হিন্দী সিনেমা এবং সিরিয়ালের নাম থেকে ধার করা নানান রঙের পোশাক।

ক্রেতাদের ভিড় সামাল দিতে অনেক মার্কেটেই দোকানিদের হিমশিম খেতে দেখা গেছে। ঈদ মার্কেটে ক্রেতাদের মধ্যে সিংহভাগই নারী। আর শাড়িসহ তৈরি জামা কেনার জন্য ছোট বড় সব মার্কেটেই ভিড় জমাচ্ছেন এই ক্রেতারা। শিশু ও নারীদের পাশাপাশি ছেলেরাও ঈদের নতুন পোশাক কিনতে ভিড় জমাচ্ছে মার্কেটগুলোতে। রমজানের প্রথম দিকে দোকানে ক্রয়-বিক্রয় কম থাকলেও বর্তমানে ক্রেতার সংখ্যা অনেক বেশি।

 পাদুকা ব্যাবসায়ীদের একজন স্বর্ণালী সুজের মালিক জাকির হোসাইন বলেন, ‘ঈদের আর কয়েক দিন বাকি এর মধ্যই ভালোই জুতা বিক্রি হয়েছে। আশা করি, আমাদের বিক্রি আরো বেড়ে যাবে। সবাই নতুন জামার সাথে মিচিং করে জুতা কিনছে।’

ছবিঘর শপিং কমপ্লেক্স নওমি ফ্যাশনের দোকান মালিক কাসেম বলেন, ‘এবারে ঈদে ছেলেমেয়ে ও ছোট বাচ্চাদের জন্য ইন্ডিয়ান ও দেশি বিভিন্ন রকমের কালেকশন রয়েছে। তবে মেয়েদের পোশাকের মধ্যে এইবারে বেশি বিক্রি হচ্ছে গত বছরের বিভিন্ন নামের  পোশাকও ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে।’

পৌর নিউমার্কেট বৈশাখী শাড়ীঘরের স্বত্বাধিকারী সাংবাদিক আদিল উদ্দিন আহমেদ  বলেন, ‘এবার ঈদের বাজার গতবারের চেয়ে এবার বেচা-কেনা বেশি। পোশাকের দাম বেশি হলেও ভাল মানের জিনিস পেয়ে ক্রেতারা খুশি। বিভিন্ন রকমের পোশাকের পাশাপাশি বাঙালির ঐতিহ্য শাড়ির চাহিদা ও অনেক বেশি রয়েছে। আমার দোকানে নতুন নতুন ডিজাইনের নামি-দামি বিভিন্ন ব্যান্ডের শাড়ী, থ্রি-পিছ, লুঈি ও সাটিং এর বিশাল সমাহার রয়েছে। তবে থ্রি-পিছ ও টাঙ্গাইলের শাড়ি, ইন্ডিয়ান শাড়ি, দেশি শাড়ি বেশ চলছে। তুলনামূলকভাবে স্বল্প দামে শাড়ি বিক্রি করছি।

কথা হয় ক্রেতার সাথে, মনোহরদী থেকে ঈদের কেনাকাটা করতে ভৈরবে এসে ঘুরছিলেন দোকানে দোকানে। সুলতানা আক্তার তিনি বললেন, ‘এবারের ঈদে ছেলেমেয়ে, স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ির জন্য কাপড় নিতে এসেছি। মার্কেটে নতুন কালেকশন অনেক দেখতে পাচ্ছি, তাই ঘুরে ঘুরে দেখে শুনে তারপর কিনছি।’

এর বাইরে কসমেটিকস ও স্টেশনারি দোকানেও কমতি নেই ক্রেতাদের। গত বছরের তুলনায় কাপড়ের মান অনুযায়

 চলতি বছরে কয়েক দফায় দাম বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে কেনা-কাটার নিরাপদ পরিবেশের কারণেও স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন শ্রেনীর ক্রেতারা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS