ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আগাম জামিন চেয়েছেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান।
রোববার (২ এপ্রিল) সকালে তার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।
‘মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, জাতির জন্য মানহানিকর’ তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ ও প্রচারের অভিযোগে বুধবার (২৯ মার্চ) রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয় প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে। সেখানে পত্রিকাটির সম্পাদক মতিউর রহমানকে ‘হুকুমের আসামি’ এবং নাম উল্লেখ না করে একজন ‘সহযোগী ক্যামেরাম্যানকে’ আসামি করা হয়েছে।
এই মামলার বাদী হাইকোর্টের আইনজীবী আবদুল মালেক (মশিউর মালেক)। মামলায় প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ আনেন আবদুল মালেক।
মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, অভিযুক্তরা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছেন।
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদনে একজন শ্রমজীবীকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়া কী করুম। বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব।’
এ মন্তব্য ধরেই খবরটির শিরোনাম করা হয়। তবে সামাজিকমাধ্যমে প্রচারিত ফটোকার্ডে ছবি দেয়া হয় আরেকটি শিশুর ছবি, যার কথা প্রতিবেদনের ভেতরে ছিল। এ ঘটনা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। প্রতিবেদনটিতে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ উপাদান থাকার কথাও বলা হচ্ছে।
পরে অবশ্য প্রথম আলো প্রতিবেদনটি থেকে ছবি সরিয়ে শিরোনাম বদলে দেয়। পাশাপাশি সামাজিকমাধ্যমে দেয়া তাদের পোস্টও প্রত্যাহার করে নেয়।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS