আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও সুদূরপ্রসারী নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে। পাকিস্তানকে অনেক আগেই ছাড়িয়ে গেছে। পাকিস্তান এখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলছে। পাকিস্তানের জনগণ এখন সে দেশকে বাংলাদেশ বানানোর আহ্বান জানায়।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় নওগাঁ জিলা স্কুল মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নওগাঁ পৌর শাখার ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচন কমিশন নিয়ে কখনোই খুশি নয়। কারণ জয়ের নিশ্চয়তা না পেলে নির্বাচন কমিশনে ফেরেশতাদের সম্পৃক্ত করলেও তারা খুশি হবে না। আসন্ন নির্বাচন কমিশনে যদি তিনজন ফেরেশতাকে মনোনয়ন দেওয়া হয় সেই কমিশনের প্রতি তাদের আস্থা থাকবে না। সার্চ কমিটির দেওয়া নামগুলোর মধ্যে থেকে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, বিএনপি সব বিষয় নিয়ে অখুশি। দেশের মানুষ খুশি হওয়ায় তারা অখুশি। আবার তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হওয়ায় অখুশি। বিএনপির আর কোনো রাজনীতি নেই। বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতাই তাদের একমাত্র রাজনীতি।
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিএনপির ভূমিকার সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, দেশের অপরাপর রাজনৈতিক দল এবং দেশের সুশীল সমাজের সকলেই যখন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সার্চ কমিটির নিকট নাম জমা দিয়েছে তখন বিএনপি সেখান থেকে দূরে থাকল। বিএনপি নাম জমা না দিলে কিছু যায়-আসে না।
দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমান সরকারের গৃহীত গঠনমূলক পদক্ষেপের কারণে মানুষের অর্থনৈতিক ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশের একজন রিকশাচালক প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা আয় করেন। ঢাকা এবং চট্টগ্রামের মতো শহরে একজন শ্রমিক প্রতিদিন কমপক্ষে এক হাজার টাকা আয় করেন। প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন দেশের উন্নয়নে মনোনিবেশ করেন তখনই পাকিস্তানের দোসররা তাকে হত্যা করে দেশের উন্নয়ন বন্ধ করে দিয়েছিল। অথচ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারের সময় অমাদের জাতীয় প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছিলাম ৯.৫৯ শতাংশ। আমরা প্রবৃদ্ধির সেই রেকর্ড অতিক্রম করতে পারিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হয়েছে। এই সাফল্যের নজির দেখে অনেকেই পিঠ বাঁচাতে আওয়ামী লীগে যোগদান করতে আসবে। যারা পিঠ বাঁচাতে আওয়ামী লীগে আসতে চাইবে তাদের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply