শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন

ওয়ালটনের ‘গ্রিন সিএসএম’ কার্যক্রম শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ৪৭৭ Time View

পরিবেশবান্ধব প্রিমিয়াম গ্রাহকসেবা নিশ্চিতে ‘গ্রিন সিএসএম’ কার্যক্রম শুরু করলো ওয়ালটন। এর মাধ্যমে সার্ভিস পয়েন্টগুলোতে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করে সর্বোচ্চ সেবা দিচ্ছে বাংলাদেশি এ মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড। যা জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বিশেষ অবদান রাখছে।

‘বেটার বাংলাদেশ টুমরো’ শীর্ষক উদ্যোগের অংশ হিসেবে ‘ভিশন গো-গ্লোবাল’ অর্জনে গ্রিন সিএসএমের ওই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে ওয়ালটন কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত ‘গ্রিন সিএসএম: রোড টু সাসটেইনেবিলিটি’ অনুষ্ঠানে গ্রিন সিএসএম ইনিসিয়েটিভের উদ্বোধন করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) গোলাম মুর্শেদ।

কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট বিভাগের তত্ত্বাবধানে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সারা দেশে ওয়ালটনের ৭৭টি সার্ভিস পয়েন্টের প্রায় তিনশ’ কাস্টমার সার্ভিস কর্মকর্তা যোগ দেন। এ সময় গ্রাহকসেবায় অনন্য অবদান রাখায় ৫১ ব্যক্তি ও সার্ভিস পয়েন্টকে পুরস্কৃত করা হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবুল বাশার হাওলাদার, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, এমদাদুল হক সরকার ও ইভা রিজওয়ানা, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস এম জাহিদ হাসান ও ড. মো. সাখাওয়াত হোসেন, রেফ্রিজারেটরের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) আনিসুর রহমান মল্লিক, টেলিভিশনের সিবিও মোস্তফা নাহিদ হোসেন, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ রাকিব উদ্দীন এবং কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজমেন্টের চিফ সার্ভিস অফিসার মুজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা  গোলাম মুর্শেদ বলেন, ওয়ালটন সর্বোচ্চ গ্রাহকসেবা দিয়ে আসছে। কারণ ওয়ালটনের প্রতিজন ক্রেতা আমাদের কাছে সম্মানিত গ্রাহক, সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাদেরকে প্রিমিয়াম সার্ভিস দেয়াই আমাদের লক্ষ্য। এ প্রিমিয়াম সেবার অর্থ ফাস্টার, বেস্ট, অ্যাডভান্সড অ্যান্ড স্মুথ। তিনি সার্ভিস প্রতিনিধিদের সৎ, নিষ্ঠাবান, দায়িত্বশীল ও উদারভাবে সেবা প্রদানে উদ্বুদ্ধ করেন।

তিনি আরও বলেন, টেকসই উন্নয়ন ধারণাটা ব্যক্তিপর্যায়ে নিজের মধ্যে ধারণ করতে হবে। কিছু ব্র্যান্ড শত শত বছর বাঁচে। যারা বহু দিন টিকে থাকে তাদের টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে এক ধরনের ট্রান্সফর্মেশনের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। আমাদের মাধ্যমেই ওয়ালটন ব্র্যান্ডের স্বপ্ন কোটি কোটি বছর টিকে থাকবে। আমরা নিজেদের স্বপ্নকে ওয়ালটনের উদ্যোক্তাদের স্বপ্নের সঙ্গে একীভূত করে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাবো। গ্রিন সিএসএমের মতো বিভিন্ন উদ্যোগের সমন্বয়ে ওয়ালটন বিশ্বসেরা ব্র্যান্ডে পরিণত হবে। সিএসএম-এর মাধ্যমে নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

সার্ভিস ম্যানেজমেন্টের চিফ সার্ভিস অফিসার মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, সর্বোচ্চ গ্রাহকসেবা নিশ্চিতে বর্তমানে সারা দেশে ওয়ালটনের রয়েছে ৭৭টি সার্ভিস সেন্টার। করোনা মহামারির মধ্যেও ক্রেতাদের সার্ভিস দিয়েছে ওয়ালটন। এজন্য চালু করা হয়েছে বিশেষ অনলাইন সার্ভিস ব্যবস্থা।

যার মাধ্যমে ক্রেতারা ঘরে বসে সহজেই সেবা পেয়েছেন। খোলা হয়েছে ডেভেলপমেন্ট সেন্টার। ওয়ালটনের সার্ভিস টিমে যুক্ত হয়েছে সোস্যাল মিডিয়া অ্যানালাইসিস অ্যান্ড রেসপন্স টিম। অনুষ্ঠানে গ্রিন সিএসএম কার্যক্রম নিয়ে ২০৩০ সাল পর্যন্ত

ওয়ালটনের রোডম্যাপ তুলে ধরেন রাকিব উদ্দীন। তিনি জানান, এসডিজি’র ১৭টি লক্ষ্যের সঙ্গে একাত্ম হয়ে ওয়ালটন কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজমেন্টে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সার্ভিস সেন্টারগুলোতে ধাপে ধাপে বিদ্যুৎ, পানি ও কাগজের ব্যবহার কমিয়ে আনার কাজ চলছে। এর মাধ্যমে যেমন গ্রিন সার্ভিস নিশ্চিত হবে। তেমনি বিশ্বের সেরা ব্র্যান্ডের লক্ষ্য পূরণের পথ সহজতর হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS