মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:৫৩ অপরাহ্ন

নৌকা বিরোধী কার্মকান্ডের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : সোমবার, ২০ মার্চ, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ৬১, নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল কুদ্দুসের রাজাকার পূনর্বাসন এবং নৌকা বিরোধী কার্মকান্ডের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন।

আমার রাজনৈতিক পরিচয়। আমার পিতা মরহুম এন্তাজ আলী মোল্লা গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার প্রতিবাদ করায় আমার পিতা গ্রেফতার হন এবং রাজশাহী জেলখানায় রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা ১ (এক) বছর এবং ১৯৭৭ সালের রংপুর জেলখানায় মার্শাল কোর্টের মামলায় ২ (দুই) বছর কারাবন্দি থাকেন। আমি আনিসুর রহমান মোল্লা ১৯৭৭ সালে তৎকালীন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য। ১৯৯৩ সালের গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক। ১৯৯২ সালে নাটের জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য। ১৯৯৯ সালে গুরুদাসপুর পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক। ২০১০ সাল ও ২০১২ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নির্বাচিত হই। ২০২০ সালে পৌর আওয়ামী লীগের সম্মলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। আমার ছোট ভাই অধ্যক্ষ মোঃ হাবিবুর রহমান থানা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। আমার তৃতীয় ভাই অধ্যক্ষ আবদুল মতিন বিল চলন শহীদ সামছুজ্জোহা অনার্স কলেজের জিএস নির্বাচিত হয়। আমার চাচতভাই মোঃ শাহনাজ আলী মোল্লা বিল চলন শহীদ সামছুজ্জোহা অনার্স কলেজের ভিপি নির্বাচিত হয়। পরবর্তী সময়ে থানা যুবলীগের সভাপতি এবং ২০০৩ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয় এবং ১৯ বছর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। অতঃপর গুরুদাসপুর পৌর সভার মেয়র হিসাবে ৩ বার নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছে।

সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস নির্বাচিত হওয়ার পর হইতে এলাকায় স্বাধীনতা বিরোধী আল বদর, রাজাকারদের পুনর্বাসিত করে আসছে। অত্র এলাকার চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী মামলার ৮নং আসামী আঃ আজিজ কে পোয়ালশুড়া পাটপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ২২/১২/১৯৯৭ইং তারিখে প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেয় এবং তার পুত্র মোশারফ হোসেনকে লাইব্রেরিয়ান পদে ১৮/০৭/২০১২ সালে নিয়োগ দেয় অতঃপর ২০১৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে এবং আঃ আজিজের নামে একটি পাকা রাস্তা নির্মান করিয়াছেন। গত ২০২১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আঃ আজিজের ছেলে শরিফুলকে এবং মশিন্দা ইউনিয়ন রাজাকার পরিবারের সন্তান মোস্তাফিজুর রহমানের জন্য মনোনয়ন বোর্ডকে ভুল বুঝাইয়া নৌকা প্রতিক এনে দেয়। (যাহার কাগজপত্র আপনাদের মধ্যে বিতরন করা হইল।) যুদ্ধাপরাধীর মামলা বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বিচারাধীন অবস্থায় আছে, এই মামলার বাদী একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান আলী বিশ্বাস। সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস নির্বাচিত হওয়ার পর হইতে গুরুদাসপুর বড়াইগ্রাম এলাকায় প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিজে সভাপতি এবং কন্যা কুহেলী কুদ্দুস মুক্তি কে সভাপতি করিয়া প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজাকার সন্তানদের নিয়োগ দিয়ে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার নিয়োগ বানিজ্য করিয়াছে। গত ২০২১ সালের গুরুদাসপুর পৌর নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী তিনবারের মেয়র এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ আলী মোল্লার প্রতিবার নির্বাচনে বিরোধিতা করে এবং বিদ্রোহী প্রার্থী বিপ্লবকে সমর্থন করে। ইহা ছাড়া বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বড়াইগ্রাম থানার গোপালপুর ইউনিয়ন এবং চান্দাই ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে সরাসরি অবস্থান করে। গত উপজেলা নির্বাচনে তাহার পালিত পুত্র আনোয়ারকে নৌকার বিরুদ্ধে প্রার্থী করিয়া এবং প্রশাসনের প্রভাব খাটাইয়া নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করে। বিগত নির্বাচনে নাজিরপুর ইউনিয়ন নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান আইয়ুব আলীর বিরোধিতা করে। ইহা ছাড়া সাংসদ কুদ্দুস প্রভাষক হিসাবে কোনদিন কোন বেতন না পাওয়ার পরেও নিজেকে অধ্যাপক বলিয়া জাহির করে। গত ২১/১২/২০২২ ইং তারিখের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ৫ (পাঁচ) বারের চেয়ারম্যান চাঁদ মোহাম্মদ এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী কামালকে সমর্থন করিয়া নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করে।

বড়াইগ্রাম উপজেলার কৈডিমা উচ্চ বিদ্যালয়ে রাজাকার খায়েরুল ইসলামের পুত্র শাহ আলম কে সহকারী শিক্ষাক হিসেবে নিয়োগ দেয়। শিবির কর্মী জাহিদুল ইসলাম কে বড়াইগ্রাম ডিগ্রি কলেজে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দেয়। শিবির কর্মী রবিউল ইসলাম রুবেল কে আহম্মেদপুর কলেজে অফিস সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেয়। শিবির কর্মী মোশারফ হোসেন কে আজম আলী ডিগ্রি কলেজে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দেয়। ছাত্রদল কর্মী তছলিম উদ্দিন কে আজম আলী ডিগ্রি কলেজে নিয়োগ দেয়। নাজিরপুর ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল রতন যিনি জামাতের আমির। শিবিরে কর্মী আলম কে বড়াইগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে লাইব্রেরীয়ান পদে নিয়োগ দেয়। শিবির কর্মী আব্বাছ আলীকে বেগম রোকেয়া সরকারী মহিলা কলেজে আরবী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়। গত ১৪/০৩/২০২৩ইং তারিখে গুরুদাসপুর থানার চাচকৈড় বাজারে একটি হত্যাকান্ড হয়। সেখানে ৫ জন আসামি ছিল। পরবর্তীতে ৩ জন আসামি তাহারা আদালতে স্বীকারক্তিমূলক জবানবন্ধী দেয়। তাহারা স্বীকার করে তাহারা ৫ জন আসামি ছিল। কিন্তু সংসদ আব্দুল কুদ্দুছ বর্তমান গুরুদাসপুর মেয়র হুকুমের ১নং আসামি করিয়া ১৯ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করিয়াছে। একটি বেসরকারী কলেজে কোনদিন বেতন না পাওয়ার পরেও নিজেকে অধ্যাপক নাম ডারন করে।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS