সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন

শিবচরে দুর্ঘটনা: ফিটনেস সনদ ছিল না বাসটির

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : রবিবার, ১৯ মার্চ, ২০২৩
  • ১০০ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মাদারীপুরের শিবচরে দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির ফিটনেস সনদ ছিল না। ফিটনেসবিহীন হওয়ায় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

রোববার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) খুলনা কার্যালয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ সূত্র জানান, খাদে পড়া ইমাদ পরিবহনের বাসটির চলাচলের অনুমতি ছিল না। গত ১৮ জানুয়ারি বাসটির ফিটনেস সনদের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল।

সূত্র আরও জানান, এই একই বাস ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর রাতে দুর্ঘটনায় পড়ে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সোনাশুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দিলে চারজন মারা যান। আহত হন আরও ১৫ জন।

বিআরটিএ বলছে, বাসটি সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, পান্থপথ শাখা ও ইমাদ প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির যৌথ নামে কেনা। কোম্পানির মালিক হাবিবুর রহমান শেখ। তার বাড়ি গোপালগঞ্জ সদরের আলিয়া মাদ্রাসা রোডের হারুন টাওয়ারে।

এদিকে, ১৯ জন নিহতের ঘটনায় মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব কুমার হাজরাকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

এ দুর্ঘটনায় নিহত ১৯ জনেরই পরিচয় জানা গেছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন খুলনার। এরা হলেন: খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার শেখ আহমেদ আলী খানের ছেলে শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪২),নগরীর টুটপাড়া আমতলা এলাকার শাহজাহান মোল্লার ছেলে আশফাকুজ্জামান লিংকন, সাউথ সেন্ট্রাল রোডের চিত্ত রঞ্জন ঘোষের ছেলে চিন্ময় প্রসূন ঘোষ, ডুমুরিয়ার পরিমল সাদুখা ছেলে মহাদেব কুমার সাধু খাঁ ও রাশেদ আলী। এর মধ্যে রাশেদ আলীর বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটায় হলেও তিনি খুলনায় শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন।

পুলিশ জানায়, রোববার ( ১৯ মার্চ) ভোরে খুলনা থেকে যাত্রী নিয়ে ইমাদ পরিবহনের বাসটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। পদ্মাসেতুর আগে ঢাকা-খুলনা এক্সপ্রেসওয়ের মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় বাসটির সামনের একটি চাকা ফেটে যায় এবং নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ১৪ জন নিহত হন। এ দুর্ঘটনায় অন্তত ২৯ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পাঁচ্চর রয়েল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে দুই জন ও শিবচরের বিভিন্ন হাসপাতালে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS