মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন

গানে গানে জি-সিরিজের ৪০ বছর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : সোমবার, ৬ মার্চ, ২০২৩

দেশের সংগীতাঙ্গনে অন্যতম ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান জি-সিরিজ। অডিও গানের স্বর্ণালী যুগ থেকে এই আধুনিক অন্তর্জালের সময়ে প্রতিষ্ঠানটি ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে শক্ত হাতে।

শুক্রবার (৩ মার্চ) সংগীতময় এই পথচলা ৪০ বছর পূর্ণ করেছে।

৪১ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদান রাখার জন্য আজীবন সম্মাননা (মরণোত্তর) দেয়া হয় অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা একুশে পদকপ্রাপ্ত উপমহাদেশের প্রখ্যাত গীতিকার, চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, কাহিনিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে এবং একুশে পদকপ্রাপ্ত লোকসংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীনকে। তাদের সন্তানরা এ সম্মাননা গ্রহণ করেন। এর আগে জি-সিরিজ থেকে আজীবন সম্মাননা পেয়েছিলেন প্রখ্যাত সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক, গায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা লাকী আখন্দ।

চার দশক পূর্তির শুভেচ্ছা জানিয়ে জি-সিরিজের কর্ণধার নাজমুল হক ভূঁইয়া খালেদ বলেন, রেডিও, টিভি, সিনেমা সব মিলিয়েই মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠেছে। এই চল্লিশ বছর চলার পথে অনেক বাধা ও প্রতিকূলতা পেরোতে হয়েছে। মিউজিক পেশা হিসেবে অনেক আপ ডাউন। যেটা করোনার সময়ে ভালোভাবে দেখা গেছে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে গার্ডিয়ান নেই। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে গেছে, আমরা এমন ইন্ডাস্ট্রি তৈরি করতে পারিনি যে, শিল্পীরা স্বাবলম্বী হতে পারে।

যোগ করে তিনি বলেন, কেউ তারকা হয়ে গেলে অন্যজনকে হেল্প করে না। এটা দুঃখজনক। পারলে এই ইন্ডাস্ট্রির মানুষকে সহযোগিতা করুন। এটুকু অবদান প্রত্যেকের রাখা উচিত। যতদিন বেঁচে থাকব, আপনাদের সঙ্গে থাকব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগীতশিল্পী প্রিন্স মাহমুদ, শেখ সাহেদ, তপু খান, তৌসিফ আহমেদ, এফ এ সুমন, কিশোর পলাশ, এম আই মিঠু, আহমেদ রাজীব, রাইসুল, পিজিত, ফাহিম ফয়সাল, রাজন সাহা, আরমান আলিফ, বেলাল খান, শাহাদাত হোসেন, দেবলীনা সুর, নির্মাতা রেজা ঘটক, সোহেল রানা বয়াতি, অভিনেতা ইমতিয়াজ বর্ষণ প্রমুখ।

১৯৮৩ সালে জি-সিরিজ প্রতিষ্ঠা করেন শিল্প অনুরাগী নাজমুল হক ভূঁইয়া খালেদ। তার মেধা, মনন এবং বলিষ্ঠ নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটি এখন দেশের প্রথম সারির একটি প্রযোজনা সংস্থা হিসেবে সুনামের সঙ্গে এগিয়ে চলছে। দেশের প্রতিষ্ঠিত বহু গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পীর আত্মপ্রকাশ ঘটেছে জি-সিরিজ থেকে। জি-সিরিজের নামকরণ করা হয়েছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত কবিতাগ্রন্থ গীতাঞ্জলির ইংরেজি প্রথম বর্ণ ‘জি’-কে গুরুত্ব দিয়ে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS